দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা জেলা আদালত মালদা, 26 এপ্রিল:বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত ৷ তার ওপর স্ত্রীর কানে এসেছিল স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা ৷ প্রতিবাদ করায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রী-কে খুন করেছিল স্বামী ৷ মঙ্গলবার দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা জেলা আদালত ৷
ঘটনাক্রমে, ফরাক্কার বাসিন্দা সুপ্রিয়া মণ্ডলের (24) সঙ্গে 2010 সালে বিয়ে হয় মালদার মানিকচকের বাসিন্দা দিলীপ রায়ের ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাত সে ৷ এরই মধ্যে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্ত্রী সপ্রিয়া মণ্ডল ৷ তারই প্রতিবাদ করেছিল সুপ্রিয়াদেবী ৷ এরপরেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় 2016 সালের 10 অগস্ট । সেদিনই মানিকচক থানায় সুপ্রিয়া মণ্ডলের বাবা অভিনয় মণ্ডল খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মেয়ের স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুপ্রিয়াদেবীর স্বামী দিলীপ ও দেওর প্রদীপ রায়কে ৷ 16 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিলীপ রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন :স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে মালদায় ভাইকে খুন দাদার
সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুণ্ডু বলেন, "2016 সালের 10 অগস্ট শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সুপ্রিয়াদেবীকে । ফোন মারফত বিষয়টি জানতে পারেন সুপ্রিয়াদেবীর বাবা অভিনয় মণ্ডল । সেদিনই তিনি সুপ্রিয়াদেবীর স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন থানায় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয় ।
এই ঘটনায় 16 জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে মৃত সুপ্রিয়াদেবীর 6 বছরের ছেলে প্রথমে গোপন জবানবন্দি ও পরে আদালতে সাক্ষী দেয়। সুপ্রিয়াদেবীর ছেলে ঘটনার রাতে দেখতে পায়, তার মা সুপ্রিয়া রায়কে গলা টিপে মেরে ফেলে তার বাবা দিলীপ রায়। এই ঘটনায় বিচারক অরুণ সিংহ অভিযুক্ত দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। 498এ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও 200 টাকা জরিমানা ধার্য করেন ৷ অনাদায়ে 2 মাসের জেল হেফাজত ও 302 ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও 5000 টাকা ফাইন দিতে হবে ৷ অনাদায়ে 6 মাসের জেল হেপাজতের সাজা ঘোষণা করেন ।"