কোরোনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নীরব আন্দোলন CPI(M)-এর - malda
কোরোনা সংক্রান্ত একাধিক ইশু তুলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নীরব আন্দোলন CPI(M)-এর ।

মালদা, 17 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে নীরব আন্দোলনে নামল CPI(M) ৷ আজ দলের জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে CPI(M) নেতা-কর্মীরা হাতে পোস্টার নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে ৷ এদিন বাম দলের এই নীরব আন্দোলনে দলীয় নেতা-কর্মীদের শারীরিক দূরত্বও মানতেও দেখা যায় ৷ তাঁদের মূল দাবি, কোরোনা মোকাবিলায় কেরালার পথে হাঁটতে হবে এই রাজ্যের সরকারকেও ৷ এই মারণ ভাইরাস নিয়ে কোনও তথ্য গোপন করা চলবে না ৷
কোরোনা মোকাবিলায় কেরালা সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করছে গোটা বিশ্ব ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁকেই নিজেদের রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখ করেছে বঙ্গ CPI(M) ৷ দলের পক্ষ থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছে, এই রাজ্যে কোরোনা পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট কিট রয়েছে ৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে সেই পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ এসব নিয়েই আজ CPI(M) নেতৃত্ব নীরব আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছে ৷ হাতে পোস্টার নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা জেলাশাসকের দপ্তরের বাইরে অবস্থান করে ৷ পোস্টারগুলিতে রোগ পরীক্ষার আরও বেশি ব্যবস্থা, কোরোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন না করা, গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের তরফে 5 হাজার ও রাজ্যের তরফে 2 হাজার টাকা প্রদানের দাবি তোলা হয় ৷ একই সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা, রেশন সামগ্রী সঠিক জায়গায় প্রদানের দাবিও জানানো হয় ৷
এই প্রসঙ্গে CPI(M)-এর জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, " কোরোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা গোটা রাজ্যে আরও পরীক্ষা চাইছি ৷ আমরা শুধু টেস্ট, টেস্ট আর টেস্ট চাই ৷ টেস্টের পরিমাণ না বাড়ালে কোরোনাকে প্রতিহত করা যাবে না ৷ কেরল তা দেখিয়ে দিয়েছে ৷ এই রাজ্যে কিটের কোনও অভাব নেই ৷ নাইসেডের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ কিট রয়েছে ৷ সেই কিট ব্যবহার করা হোক ৷ লকডাউনকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হলে প্রতিটি মানুষের কাছে তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী রেশন পৌঁছে দিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে কার রেশন কার্ড রয়েছে, কার নেই, তা দেখা চলবে না ৷ কোনও APL কিংবা BPL এখন দেখা চলবে না ৷ যাদের সামর্থ রয়েছে, তাঁরা নিশ্চয়ই রেশন চাইবে না ৷ কিন্তু যাদের সামর্থ নেই, তাঁদের সবাইকে রেশন দিতে হবে ৷ প্রত্যেককে একমাসের পুরো রেশন একসঙ্গে দিতে হবে ৷ বর্তমানে গোটা দেশে প্রচুর শ্রমিক আটকে রয়েছেন ৷ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য বক্তব্য রাখলেন ৷ কিন্তু তিনি এই শ্রমিকদের নিয়ে কোনও কথা বললেন না ৷ বিভিন্ন রাজ্যে এই শ্রমিকদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই ৷ আমরা দল ও দলীয় সংগঠনগুলির মাধ্যমে দেশ জুড়ে এই সমস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি ৷ কিন্তু এরা সরকারি সহায়তা পাচ্ছে না ৷ এদের রাজ্যে ফেরত এনে 14 দিনের কোয়ারান্টাইনে রেখে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে ৷ সমস্ত মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা দিতে হবে ৷ এই রাজ্যে কোরোনা নিয়ে কোনও তথ্য গোপন করা যাবে না ৷ এসব দাবিতেই আজ আমরা এই নীরব আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছি ৷"