মালদা, 19 ডিসেম্বর : মালদা জেলায় শান্তি ফেরাতে, বুধবার, জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যদের একটি দল৷ তাঁদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে রাজ্যে।
মালদায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন CPI(M)-র
মালদা জেলায় শান্তি ফেরাতে গতকাল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যদের একটি দল ৷ তাঁদের মতে এই পরিস্থিতে সর্বদলীয় বৈঠক করলে আস্থা ফিরবে সাধারণ মানুষের মনে ৷ তাঁদের অভিযোগ, একদিকে বিল পাশে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন তৃণমূলের কিছু সাংসদ অন্যদিকে তাঁদেরই দলের একাংশ পথে নেমে বিক্ষভের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে ৷
CAA ও NRC-কে ঘিরে বিক্ষোভের জেরে মালদায় যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রন করতে ও জেলায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় সভার আবেদন জানালেন জেলার বামফ্রন্ট নেতারা৷ এই বিষয়ে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতন, মালদাতেও প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে৷ তাই আজ আমরা জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় সভা ডাকার আবেদন জানাতে এসেছি৷ সেই বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদেরও ডাকার দাবি জানাচ্ছি৷ আমাদের মূল দাবি, প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে অবিলম্বে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এখন যেভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক নয়৷ NRC, CAA ও NPR নিয়ে মানুষের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হোক গণতান্ত্রিক লড়াই ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে৷ অতীতে এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন সর্বদলীয় সভা ডেকেছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে৷ এবারও তেমনটাই করলেই আস্থা ফিরবে সাধারণ মানুষের মনে৷ রাজ্যের শাসকদলের একাংশ একদিকে CAA ও NPR-এর বিরুদ্ধে পথে নামছে অন্যদিকে শাসকদলেরই কিছু সাংসদ বিল পেশ হওয়ার দিন সংসদে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন৷ বনগাঁ ও রাজারহাটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জায়গাও দেওয়া হচ্ছে৷ তাই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের কতটা বোঝাপড়া রয়েছে, সেটা মানুষের বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না ৷"
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশন ৷ ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৭ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করলেও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল ৷ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা৷ মঙ্গলবার থেকে নতুন করে কোথাও অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে পুলিশ৷