মালদা, 24 জুলাই: শেষ পর্যন্ত জামিনে মুক্তি পেলেন বামনগোলার পাকুয়াহাটের নির্যাতিতা দুই মহিলা ৷ সোমবার মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক মৃণালকান্তি মণ্ডল ব্যক্তিগত এক হাজার টাকার বন্ডে দুই মহিলাকেই জামিন দিয়েছেন ৷ তবে এই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের বিষয়ে বিচারক কোনও নির্দেশ এদিন দেননি ৷ এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি সরকারি আইনজীবী মেহতাব আলম ৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার আইনজীবী ৷
আদালতে পুলিশ কেন দুই মহিলাকে 164 ধারায় বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির করল না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে এদিন ৷ গত 18 জুলাই পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে প্রথমে বিবস্ত্র করে গণধোলাই, পরে পুলিশের চরম অমানবিকতার শিকার হয়েছিলেন মানিকচক থানা এলাকার দুই মহিলা ৷ বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তীর নির্দেশে ওই দুই মহিলাকে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের মামলায় যুক্ত করে আদালতে চালান করে দেওয়া হয় ৷ বিচারকের নির্দেশে জেল হেফাজত হয় তাঁদের ৷ প্রশ্ন ওঠে, চুরি করার অভিযোগেই যদি ওই দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে জনরোষের শিকার হতে হয়, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা রুজু না করে ফাঁড়ি ভাঙচুরের মামলা রুজু করা হল কেন?
অন্যদিকে, তার একদিন নালাগোলা ফাঁড়িতে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল বিজেপি ৷ তবে কি পুলিশ এই দুই মহিলাকে বিজেপি কর্মী প্রমাণ করতেই সক্রিয় ছিল? গত 17 জুলাই নালাগোলা ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি ৷ ওইদিন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ফাঁড়ির বাইরের টিনের বেড়া ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘটনাতেই পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুরের মামলা রুজু করে ৷ দুই মামলাতেই পুলিশ এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক জয়েল মুর্মু-সহ 20 জনের নামে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ৷ এর সঙ্গে নাম না-জানা আরও 50-60 জনকে মামলায় জুড়ে দেওয়া হয় বলে খবর ৷ জানা যাচ্ছে, এর মধ্যেই নির্যাতিতা দুই মহিলার নাম পরে জুড়ে দেয় পুলিশ ৷