মালদা, 25 অগস্ট: এলাকায় বসেছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প । সকাল থেকে মানুষের থিকথিকে ভিড় । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রতি মাসে 500 টাকার হাতছানি । তাই 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধে পেতে ভোর থেকেই মহিলারা ভিড় করেছেন ক্যাম্পে । কিন্তু কীভাবে সেই প্রকল্পের সুবিধে মিলবে, কীভাবে ফর্ম ফিল আপ করতে হবে তা বেশিরভাগেরই অজানা । মহিলাদের বেশিরভাগ লেখাপড়াও জানেন না। তবে কী হবে? এসব চিন্তাভাবনার মধ্যেই ক্যাম্পে হাজির বিডিও । তিনি নিজেই মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি করতে শুরু করেন। শুধু ফর্ম বিলিই নয়, নিজের হাতে ফর্ম ফিল আপও করে দেন অনেক মহিলার । পিছিয়ে ছিলেন না স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও । উপভোক্তাদের কখন কোন ফর্মে প্রধানের স্বাক্ষর লাগবে জানা নেই । তাই সকাল থেকে তিনিও একটি ক্যাম্প করে ঠায় বসেছিলেন বিকেল পর্যন্ত । তাঁদের এই উদ্যোগ সফল হয়েছে । আজ পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পোপড়া ঈশ্বরলাল হাইস্কুলের ক্যাম্পে আসা প্রত্যেকেই নিজেদের ফর্ম জমা দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন । কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি ।
সম্প্রতি গোটা রাজ্যেই দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে । ভিড়ের চাপে মালদার তিনটি ব্লকে একটি করে ক্যাম্প বাতিলও করতে হয়েছে । কয়েকদিন আগে পুরাতন মালদারই সাহাপুর হাইস্কুলে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা । তারপর থেকেই এই ব্লকের ক্যাম্পগুলিতে বিশেষ নজর দিতে শুরু করেছে প্রশাসন । আজ যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল । নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে থেকেই ক্যাম্পের সামনে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড় । তার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই ছিল বেশি। কারণ, ক্যাম্পে আসা মহিলাদের অনেকেই ফর্ম পাচ্ছিল না । অনেকে আবার হাতে ফর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । কারণ, ফর্ম ফিল আপ করার ক্ষমতা নেই তাদের । ক্যাম্প শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে আসেন বিডিও ইরফান হাবিব । বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনিই ক্যাম্পে বসে পড়েন । মহিলাদের ফর্ম বিলি থেকে শুরু করে তা ফিল আপ, সবটাই করেন নিজের হাতে ।