মালদা, 23 জুন : ‘নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারোমাস’৷ এই প্রবাদ বেশ ভালই টের পাচ্ছে চাঁচলের মহানন্দা নদীর পাড়ে বসবাস করা মানুষ ৷ বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দা পাড় কাটতে শুরু করেছে ৷ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ফাটল ৷ পাড়ে থাকা বাড়িঘর যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে নদীতে ৷ সেই আশঙ্কায় প্রতিটি রাত পার করছেন স্থানীয়রা ৷ এখন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী এই জেলার মানুষ ৷ সমস্যা সমাধানে তাঁর হস্তক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে এলাকার বিধায়কও ৷
যশের প্রভাবে এবার বঙ্গে আগেই এসেছে বর্ষা ৷ বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির বিরাম নেই ৷ ফুলে ফেঁপে উঠেছে প্রতিটি নদী ৷ তাতেই আতঙ্ক বাড়ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ৷ চাঁচলে মহানন্দার পাশে থাকা গালিমপুর, যদুপুর, ভবানীপুর, শ্রীপতিপুর-সহ একাধিক গ্রামে এখন আশঙ্কার প্রহর গোনা চলছে ৷ কারণ, নদীর প্রবল স্রোতে ভাঙতে শুরু করেছে বাঁধ ৷ ধীরে ধীরে নদীগর্ভে যেতে শুরু করেছে বাঁধের বোল্ডার ৷ নদীর জল আরও বাড়লে দুর্বল বাঁধ যে যুঝতে পারবে না, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন সবাই ৷ তেমন হলে কিন্তু এবারই নদীতে মিলিয়ে যেতে পারে গোটা পঞ্চাশেক বাড়ি ৷
নদীপাড়ের মোক্তারি বিবির মনে এখনও সতেরোর বন্যার স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে ৷ তিনি জানান,"বাঁধ কেটে যাচ্ছে ৷ নদীর জলও বাড়ছে ৷ আতঙ্কে রয়েছি ৷ কখন কী হয় জানি না ৷" একই বক্তব্য সায়েদা বিবিরও ৷ তিনি বলেন, "গত বছর থেকেই নদী বাঁধ কাটছে ৷ বাঁধের অবস্থা ভাল নয় ৷ আমার ছেলেটার ঘরের কোণায় নদী চলে এসেছে ৷ সব বোল্ডার নদীতে চলে গিয়েছে ৷ বাঁধ ভাঙলে বাড়িঘর সব চলে যাবে ৷ আমরা ত্রাণ চাই না, কাজ চাই ৷"