মালদা, 21 নভেম্বর : সুইসাইড নোটে এক ব্যক্তিকে দায়ী করে আত্মঘাতী হলেন সরকারি দপ্তরের এক প্রহরী ৷ আজ সকালে শোওয়ার ঘরে ওই রক্ষীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেলে ৷ পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার পিছনে বেআইনি চাকরি চক্রের যোগ থাকার দাবি তুলেছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পৌর এলাকার রসিলাদহ সংলগ্ন বাচ্চা কলোনি এলাকায় ৷
মৃত ব্যক্তির নাম মিলন দেবনাথ ৷ বয়স 40 বছর৷ তিনি বাচ্চা কলোনি এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ৷ পূর্ত দপ্তরের প্রহরীর কাজে কর্মরত থাকলেও তিনি সরকারি কর্মী ছিলেন না ৷ আজ সকালে শোওয়ার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁর ছেলে রাজেশ বলেন, "গতকাল রাতের খাবার খেয়ে বাবা নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যায় ৷ আজ সকালে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ অন্যদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠলেও আজ অনেক বেলা পর্যন্ত দরজা না খোলায় আমাদের সন্দেহ হয় ৷ আমরা এলাকার লোকজনকে ডেকে আনি ৷ দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর ঢুকতেই সিলিং ফ্যানে বাবার ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে ৷ খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন বাবার দেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেলে নিয়ে আসে ৷ পোস্ট মর্টেম ঘরে বাবার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হরেনদা দায়ী’ ৷ হরেনদা কে আমি জানি না ৷ তবে মালদা এয়ারপোর্টে কাজের জন্য সেখানকারই এক কর্মী সুবোধবাবুকে সাত-আট জন 25 হাজার টাকা করে দিয়েছিল ৷ সুবোধবাবু মারা গিয়েছেন ৷ তারপর ওরা সেই টাকার খোঁজ করে ৷ কিন্তু কার কাছে সেই টাকা আছে, তা জানতে পারেনি ৷ দু’তিনদিন আগে হরেন নামে ওই ব্যক্তি লোকজন নিয়ে বাবার কাছে এসেছিল ৷ তাঁরা বাবাকে টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দিচ্ছিল ৷ কিন্তু বাবা তাঁদের জানিয়ে দিয়েছিল, বাবা একাই সেই টাকা দিতে সুবোধবাবুর কাছে যায়নি ৷ আমরা চাইছি, পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে বাবার মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করুক ৷"