ইংরেজবাজার, 14 মে : ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা না দেওয়ার নোটিস পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল গ্রহীতারা ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার পৌরসভার মাতৃসদন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷
প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে বদল করা হয়েছে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা ৷ এখন থেকে প্রথম ডোজের 12 থেকে 16 সপ্তাহ পর টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গতকাল সরকারিভাবে সেই নির্দেশিকা জারি করা হলেও জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সেই নোটিস সকাল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি ৷ এদিকে, ভোর থেকেই টিকা নিতে জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মত মাতৃসদন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও লাইন পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে নোটিস দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা বদল করা হয়েছে ৷ ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ানোর পর এই নোটিস দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রহীতারা ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা ৷ এই সময় এক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা ৷ রাগ সামলাতে না পেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে থাকা নোটিস ছিড়ে ফেলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী ৷
টিকা বন্ধের নোটিস দেরিতে, বিক্ষোভ গ্রহীতাদের আরও পড়ুন :বাংলা-সহ দেশের 10 কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে 19000 কোটি টাকা ট্রান্সফার মোদির
এক গ্রহীতা তরুণকুমার পোদ্দার বলেন, “আমরা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সকাল ছ'টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি ৷ এখন সাড়ে দশটায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নোটিস দিচ্ছেন ৷ তাহলে আমরা কেন সকাল থেকে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম ৷ স্বাস্থ্য দফতরের উচিত ছিল গতকাল রাতে কিংবা সকালেই নোটিস দেওয়া ৷ তাহলে এত লোকজনকে হয়রানি হতে হত না ৷ আমরা চাইছি আমাদের আজকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হোক ৷ নিয়ম তো 28 দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া ৷ কিন্তু মোদি সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে ৷”
একই বক্তব্য আর এক মহিলা উপভোক্তা সুমিতা দুবের ৷ তিনি বলেন, “গতকাল আমি নিজে এসে স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কিনা জেনে গিয়েছি ৷ তখন আমাদের কেউ জানাননি দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের সময় বদলানো হয়েছে ৷ আমি আজ ভোর পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি ৷ আমাদের এভাবে হয়রানি করানো হচ্ছে ৷ যতক্ষণ না আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে আমরা ততক্ষণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকব ৷”
যদিও এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ৷