মালদা, 6 অক্টোবর : কোরোনা কেড়েছে স্বামীর কাজ ৷ শেষ হয়েছে জমানো টাকা ৷ এদিকে পাঁচজনের সংসার ৷ কীভাবে দু’বেলা তাঁদের পেট ভরাবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না সুনীতা মণ্ডল ৷ তাই সরকারি সাহায্যের আশায় গত সোমবার থেকে প্রতিদিন যাচ্ছিলেন BDO অফিসে ৷ কিন্তু আধিকারিকের দেখা পাচ্ছিলেন না ৷ তাই গতকাল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর সঙ্গে প্রথমে দেখা করেন তিনি ৷ তাঁর পরামর্শে ফের যান BDO-র সঙ্গে দেখা করতে ৷ তাঁর অভিযোগ, কথা শোনা দূরের কথা BDO তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন । তাঁকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ এর প্রতিবাদে তাঁর ঘরের সামনেই ধরনায় বসেন সুনীতা মণ্ডল ৷ শেষ পর্যন্ত দপ্তরের কয়েকজনের আশ্বাসে তিনি ধরনা প্রত্যাহার করে নেন । BDO-র এই ভূমিকাকে সমর্থন করেননি পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী । যদিও BDO-র দাবি, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷” তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে ।
সুনীতা মণ্ডলের বাড়ি মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামে । স্বামী দিনমজুর । লকডাউনের পর থেকে ঘরেই বসে রয়েছেন ৷ তাঁদের তিন ছেলেমেয়ে ৷ প্রত্যেকেই ছোটো ৷ কান্নায় ভেঙে পড়ে সুনীতা বলেন, “কিছু শুকনো খাবারের আশায় গত সোমবার থেকে প্রতিদিন এখানে আসছি ৷ GR কিংবা অন্য কোনও সাহায্য করা দূরের কথা, কথা বলতে গেলেই আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ আজ ফের BDO-র সঙ্গে দেখা করতে আসি ৷ জোর করে তাঁর ঘরে ঢুকি । আমাকে দেখেই তিনি সেখান থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেন ৷ ঘরে খাবার নেই ৷ তার উপর বৃষ্টিতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে ৷ ত্রিপল চেয়েও পাইনি ৷ পঞ্চায়েতের দেওয়া কুপন নিয়ে BDO কাছে GR চাইতে এসেছিলাম ৷ খেতে পেলে কি এখানে আসতাম ? এতদিন তো আসিনি । দোতলায় যে ক্যামেরা আছে, তার ছবি দেখলেই জানা যাবে, BDO আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন৷”