মালদা, 26 জুন : কন্যাশ্রী প্রকল্পে টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি দাবি । কাটমানি না দেওয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্লকের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও ক্লার্কের বিরুদ্ধে (Kanyashree Money) । কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে ব্লক অফিস, জেলা প্রশাসন-সহ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পর্যন্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে । ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক এলাকার ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আবদুল মোমিন কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য 5 হাজার টাকা দাবি করছেন । তাঁদের অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে ক্লার্ক গোলাম রব্বানিরও । টাকা না দিয়ে ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তালিকা থেকে উপভোক্তাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । সেই স্থানে অন্য মেয়েদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও ক্লার্ক । এনিয়ে ব্লক অফিস, জেলা প্রশাসন এমনকি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পর্যন্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ । কন্যাশ্রী প্রকল্পের এক উপভোক্তা এরিনা খাতুন বলেন, "আমরা কন্যাশ্রীর জন্য ফর্ম ফিল-আপ করেছি । কিন্তু এখনও টাকা পাইনি । ব্লক অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আবদুল মোমিন বিয়ে হয়ে যাওয়ার নাম করে আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে । অথচ আমার বিয়ে হয়নি । এরকম অনেক মেয়েদের নাম বাতিল করা হয়েছে । কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবদুল মোমিন আমাদের থেকে 5 হাজার টাকা করে চেয়েছিল । আমরা টাকা না দিতে পারায় আমাদের নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ।"