পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Apr 25, 2020, 12:58 AM IST

ETV Bharat / state

গঙ্গা দিয়ে মালদায় ঢুকছে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা, নজরদারি পুলিশের

লকডাউন ঘোষণার পর আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া মালদার সঙ্গে বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ বন্ধ ৷ কিন্তু তারই মধ্যে অনেকে নদীপথ ব্যবহার করে মালদায় ঢুকে পড়ছে ।

malda
malda

মালদা, 24 এপ্রিল : লকডাউনের মাঝে গঙ্গা পেরিয়ে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে অনেকে চলে আসছে মালদায় ৷ কয়েকদিন ধরেই এই খবর পাওয়া যাচ্ছিল ৷ এতে জেলাবাসীর মধ্যে কোরোনার আতঙ্কও বাড়ছিল ৷ ঘটনা যে সঠিক তা মেনে নিয়েছে পুলিশ ৷ ভিনরাজ্য থেকে কেউ যাতে ঢুকতে না পারে তা খতিয়ে দেখতে আজ মানিকচক থানার OC ও রতুয়া সার্কেল ইন্সপেকটর গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানায় ৷ ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের প্রবেশ ঠেকাতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় ৷ বৈঠকের পর ঠিক হয় এখন থেকে গঙ্গায় দিনে ও রাতে যৌথ নজরদারি চালাবে পুলিশ ৷ আজ সেকথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷

মালদা জেলার ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, এর একদিকে রয়েছে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড ৷ জেলা থেকে এই দুই রাজ্যকে আলাদা করেছে গঙ্গা ৷ লকডাউন ঘোষণার পর আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ সেই সীমান্তগুলিতে সড়কপথে বসেছে নাকা চেকিং ৷ ফলে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া মালদার সঙ্গে বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ বন্ধ ৷ কিন্তু তারই মধ্যে একশ্রেণির মানুষ নদীপথ ব্যবহার করে ভিনরাজ্য থেকে এই জেলায় ঢুকে পড়ছে ৷ সম্প্রতি মানিকচক ও কালিয়াচক 2 ব্লক থেকে এই অভিযোগ এসেছিল ৷ জানা গেছে, জেলার শ্রমিকদের একাংশ এই কৌশলে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ৷ সেই অভিযোগের সত্যতা পেয়েই এবার থেকে গঙ্গায় দুই রাজ্যেই যৌথ নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছে মালদা জেলা পুলিশ ৷

পুলিশ সুপার বলেন, "আমাদের রাজ্যে গোটা দেশের আগে থেকেই লকডাউন শুরু হয়েছিল ৷ তখন থেকেই মানিকচকে গঙ্গার মূলঘাট আমরা বন্ধ করে দিয়েছি ৷ কোনও নৌকা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ একদিন ঘাটে নজরদারি চালাতে গিয়ে আমরা দেখি কয়েকজন মূল ঘাটে না এসে ঝাড়খণ্ড থেকে নৌকায় চেপে এপারে এসে অন্য জায়গায় নামছে ৷ সেই প্রেক্ষিতে আমরা নদীপথেও নজরদারি শুরু করে দিই ৷ আজ রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেকটর সঞ্জয় দাস ও মানিকচক থানার OC গৌতম চৌধুরি নৌকায় করে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানায় যান ৷ থানার OC চিরঞ্জিৎ প্রসাদের সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘ বৈঠক করেন ৷ চিরঞ্জিতবাবুও আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরাও নদীপথে নজরদারি বাড়াবেন ৷ যাতে পুলিশের নজর এড়িয়ে কেউ এপারে না আসতে পারে ৷ প্রয়োজনে যৌথ নজরদারিও চালানো হবে ৷"

তিনি আরও বলেন, "এরপরেও যারা চোরাপথে গঙ্গাকে ব্যবহার করে এই জেলায় আসবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে ৷ আদালতে জামিন পেলেও তাদের সবাইকে 14 দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details