পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

IPL বেটিং চক্রে যোগ! আত্মহত্যার চেষ্টা পবিবারের

আজ সকালে ওই বাড়ির কাজে যাওয়ার সুবাদে বিষয়টি পথম পরিচারিকার নজরে আসে ৷ তড়িঘড়ি ওই চারজনকে স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

মালদা
মালদা

By

Published : Sep 29, 2020, 3:26 PM IST

Updated : Sep 29, 2020, 5:12 PM IST

মালদা, 29 সেপ্টেম্বর : IPL বেটিং চক্রের যোগ! একই পরিবারের চার সদস্য হৃদরোগের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৷ মালাদার কালিয়াচকে ঘটনা ৷ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান IPL বেটিং চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই পরিবার ৷ তবে প্রকাশে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তাদের কেউই ৷ আজ সকালে ওই বাড়ির কাজে করতে যাওয়ার সুবাদে বিষয়টি পথম পরিচারিকার নজরে আসে ৷ তড়িঘড়ি ওই চারজনকে স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে ইতিমধ্যেই তিনজনকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ আদও এই ঘটনার সঙ্গে IPL বেটিং চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কালিয়াচক পুলিশ ৷

কালিয়াচকের ঘড়িয়ালিচক এলাকার থানাপাড়ায় বাসিন্দা বছর 38-এর সন্দীপ সারদার৷ কালিয়াচকের নামী ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত তিনি৷ কালিয়াচকের মাস্টারপাড়ায় একটি শপিং মলও ছিল তার৷ একাংশ স্থানীয়বাসিন্দাদের মতে সম্প্রতি দেনার দায়ে সেই শপিং মল বিক্রি করে দেয় সন্দীপ ৷ তাঁর স্ত্রী শশী সারদা৷ সন্দীপ ও শশীর দুই ছেলেমেয়ে৷ অর্পিতার ও অভিষেকের বয়স যথাক্রমে 16 ও 12 বছর৷

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন

স্থানীয় একাংশের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই IPLবেটিং-এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল সন্দীপ৷ কিন্তু সম্প্রতি বেটিংয়ে অনেক টাকা হেরে বর্তমানে তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য৷ শপিং মলের মালিক হওয়া সত্ত্বেও বেটিংয়ের জেরে বাজারে প্রচুর দেনা হয় তার৷ এনিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি৷ স্থানীয়দের অনুমান সেই অবসাদ থেকে মুক্তি পেতেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সন্দীপ৷ সেই মত গতকাল রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে হৃদরোগের ওষুধ খায় পরিবারের সদস্যরা৷

প্রতিদিনের মতোই আজ সকালে ওই বাড়িতে কাজ করতে যায় পরিচারিকা ৷ তখনই বিষয়টি প্রথম জানাজানি হয় ৷ আজ সকাল 11টা নাগাদ পরিচারিকা বাড়ির দরজায় ডাকাডাকি করে অথচ কারোর সাড়া মেলে না ৷ অথচ বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ৷ তারপরই সন্দেহ হয় পরিচারিকার ৷ স্থানীয়বাসিন্দাদের ডাকে সে ৷ সেই সঙ্গে সন্দীপের আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয় ৷ বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করতেই দেখা যায় সকলে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ সকলকে উদ্ধার করে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের আত্মীয়রা৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর অর্পিতার জ্ঞান ফিরলেও বাকি তিন জনের জ্ঞান না ফেরায় তাদের মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ইতিমধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

এদিকে অর্পিতা জ্ঞান ফেরার পর জানিয়েছে, "গতকাল রাতে পরিবারের সকলকে একসঙ্গে ওই ওষুধ খাওয়ায় সন্দীপ৷" অর্পিতা আরও জানায়, "অনেকদিন ধরেই বাবা মানসিক অবসাদে ভুগছিল৷ টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ আমরা বাবাকে অনেক বুঝিয়েছিলাম৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷ এখন কী হবে, জানি না৷"

কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অর্পিতা ছাড়া পরিবারের আর কেউ এখন কথা বলার অবস্থায় কেউ নেই৷ মেডিকেল হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে৷ সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যাবে না ৷ পুলিশ এক আধিকারিক জানিয়েছে, আত্মহত্যার চেষ্টার সঙ্গে IPL বেটিং-এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

Last Updated : Sep 29, 2020, 5:12 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details