মালদা, 1 জানুয়ারি : মালদা জেলারর অন্যতম নামকরা পর্যটন স্থল হল গৌড় ৷ ঐতিহাসিক দিক দিয়েও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে এই স্থানের ৷ করোনা সংক্রমণের কারণে গত প্রায় 2 বছর ধরে বন্ধ ছিল গৌড়, আদিনা, পাণ্ডুয়া, জগজীবনপুরের মতো মালদার প্রসিদ্ধ পর্যটনস্থলগুলি ৷ করোনার প্রভাব পড়েছিল এলাকার পর্যটনে (impact of corona in tourism of gour in malda) করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমায় মাঝে খুলেছিল এই পর্যটনস্থলগুলির দরজা ৷ কিন্তু ফের বাড়ছে সংক্রমণ ৷ ওমিক্রনের আতঙ্কও ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে গৌড়-আদিনায় ৷ কমছে পর্যটক ৷ মনে করা হচ্ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়লে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই পর্যটনস্থলগুলি ৷
মালদা শহর থেকে প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের দূরত্ব প্রায় 18 কিলোমিটার । একসময় গৌড়ের আয়তন ছিল প্রায় 80 বর্গ মাইল । তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সেই আয়তন অনেকটা কমে গিয়েছে । এখন ওই জায়গার মধ্যে গড়ে উঠেছে জনবসতি । দেশ বিভাজনে কিছুটা অংশ চলে গিয়েছে বাংলাদেশে । তবে বেশিরভাগ অংশ এখনও মালদার মধ্যে । বর্তমানে এখানে 16টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে । রয়েছে প্রাচীন গৌড় নগরীকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত বাইশ গজি প্রাচীরের ভগ্নাবশেষ । তৎকালীন পিলখানার কিছু অংশ এখনও দেখা যায় । এখনও মাঝেমধ্যেই মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে আসে প্রাচীনকালে ব্যবহৃত একাধিক নিদর্শন, এমনকি অস্ত্রশস্ত্রও । প্রতি বছর শীতে এখানে পর্যটকদের ঢল নামে এইসব ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার টানে । কিন্তু করোনার আতঙ্ক ও প্রভাব এখন এই পর্যটনস্থলেও ৷
পর্যটনের মরশুমে এভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তার জেরে পর্যটকদের আসা কমে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে গৌরের টোটো চালক, ছোট ব্যবসায়ীদের ৷ তাঁদের বক্তব্য, গত প্রায় 2 বছরে করোনা, লকডাউনের কারণে তাঁদের রোজগারে এমনিতেই টান পড়েছে ৷ কমেছে আয় ৷ এবছর ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হলে তাঁদের বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে ৷