মালদা, 27 অক্টোবর : 16 নভেম্বর রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলতে চলেছে স্কুল ৷ খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও ৷ ইতিমধ্যে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে স্যানিটাইজেশন ও অন্যান্য জরুরি পদক্ষেপ করা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তেমনি মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ভজমোহন বেসিক হাইস্কুল ও ভজমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের পরিস্থিতি ঠিক কেমন, সেই খোঁজ নিতে গেটের তালা খুলে ভিতরে ঢুকেছিলেন ৷ আর ভিতরে ঢুকেই কপালে চোখ ওঠে তাঁর ৷ স্কুল চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস, এমনকি জুয়া খেলার কাগজও ৷ এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতে চলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷
থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে স্কুল ৷ আর তার কাছেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ পাশে আইটিআই ৷ করোনাকালে শুধুমাত্র মিড-ডে মিল দেওয়া ছাড়া স্কুল গেটের তালা খোলা হয়নি ৷ কিন্তু, আগামী 16 নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাই ভজমোহন বেসিক হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোককুমার দাস সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন ৷ স্কুল চত্বরে ঢুকেই আঁতকে ওঠেন তিনি ৷ ভিতরে ঢুকেই তিনি দেখেন চারদিকে মদের বোতল, গ্লাস, কাগজের ঠোঙা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৷ তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও স্কুল চত্বরে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছিল ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এলাকা পরিদর্শনও করেছিল ৷
আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: বাড়তে থাকা সংক্রমণের মধ্যে স্কুল খোলা কতটা নিরাপদ ? প্রশ্ন অধীরের
এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোককুমার দাস বলেন, “বহুদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে ৷ এর আগে থানাতেও জানানো হয়েছিল ৷ পুলিশি পদক্ষেপে কিছুদিন এসব বন্ধ থাকে ৷ কিন্তু ফের শুরু হয়ে যায় ৷ কিছু অসামাজিক লোকজন এখানে এসব কাজ করে ৷ এ নিয়ে আমি আবার থানায় জানাব ৷ স্কুল চত্বরে অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে এর আগে চারপাশে পাঁচিল দেওয়া হয়েছিল ৷ তখন কিছুদিন এ সব বন্ধ ছিল ৷ কিন্তু, পাঁচিল করার পর স্কুল চত্বরে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ৷ তার জন্য পাঁচিলের একাংশ ভাঙতে হয়েছিল ৷ ওই ভবন এখনও সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি ৷ কিন্তু, পাঁচিলটি ভাঙা অবস্থাতেই থেকে গিয়েছে ৷ সেখান দিয়েই লোকজন স্কুল চত্বরে ঢুকে এ সব অসামাজিক কাজ করছে ৷ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী 16 নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা ৷ তার আগে স্কুল চত্বর পুরোপুরি সাফাই করা হবে ৷ অবশ্য প্রতি মাসে মিড-ডে মিল দেওয়ার আগে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করা হয় ৷’’