মালদা, 16 ফেব্রুয়ারি : মালদার চিতোরপুরে পণের দাবিতে কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে । মাস ছয়েক আগেই বিয়ে হয় ওই কিশোরীর । ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
মালদার চিতোরপুরের যুবক অনুপ রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পূজা ঘোষের (17) । পরে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় । মাস ছয়েক আগে বিয়ে করে পূজা ও অনুপ । পূজার বাবা বিষ্ণু ঘোষ বলেন, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারত না পূজা । কথার অমান্য করলেই তার উপর চলত অত্যাচার । বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই পণের দাবি করে অনুপ এবং অনুপের মা । প্রায়ই বাড়ি থেকে টাকা আনার কথা বলত । প্রতিবাদ করলেই মারধর করা হত । কিছুদিন পর সেই অত্যাচার আরও বেড়ে যায় । শারীরিক অত্যাচারের পাশাপাশি মানসিক অত্যাাচারও চালানো হত । একবার বাড়ির সদস্যদের বিষয়টি জানায় পূজা । বিষ্ণুবাবু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পূজার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও তার সমাধান হয়নি ।
মালদায় কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ 11 ফেব্রুয়ারি অন্যদিনের মত পণের দাবিতে প্রথমে পূজাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে অনুপ আগুন লাগিয়ে দেয় । পূজার চিৎকার শুনে সেখানে পৌঁছায় প্রতিবেশীরা । তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় । প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পায় পূজার পরিবার । হাসপাতালে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পূজার শাশুড়ি অর্চনা রায় তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। গতকাল রাতে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূজার মৃত্যু হয় ।
পূজার দিদি মুন্নি ঘোষ জানান, "বোন প্রেম করে বিয়ে করেছিল । বিয়ের পর তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে দিত না বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন । আমাদের অনুমান বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বোনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে । আমরা দোষীদের শাস্তি চাই ।" মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।