মালদা, 28 জুলাই : হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে বউদিকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে ৷ হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তিগড় ডোবাপাড়া এলাকার ঘটনা ৷ পরে রক্তমাখা হাঁসুয়া নিয়ে হবিবপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে ওই যুবক ৷
মৃতের নাম সন্ধ্যা সরকার ৷ স্বামী জগন্নাথ সরকার পেশায় কৃষক ৷ একই বাড়িতে থাকে জগন্নাথবাবুর ভাই ঈশ্বর সরকারও ৷ বছর দশেক আগে জগন্নাথবাবুর বিয়ে হয় সন্ধ্যার সঙ্গে ৷ সন্ধ্যার বাবার বাড়িও ওই একই এলাকায় ৷ তাঁদের দুটি মেয়েও রয়েছে ৷ গতকাল সকালে ঈশ্বরের আত্মসমর্পণের পর তার ঘর থেকে সন্ধ্যার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷
জগন্নাথবাবু বলেন, "এখন পাট কাটার মরশুম চলছে ৷ গতকাল সন্ধ্যায় দুই ভাই পাট কেটে বাড়ি ফিরেছি ৷ রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ৷ রাতে স্ত্রীর পেটের গোলমাল দেখা দিয়েছিল ৷ বেশ কয়েকবার শৌচাগারেও গিয়েছিল ৷ আজ ভোরে পাট কাটতে যাওয়ার জন্য ভাইকে ডাকতে থাকি ৷ কিন্তু অনেক ডাকাডাকিতেও সে দরজা খোলেনি৷ শেষে মা ভাইয়ের ঘরে উঁকি মেরে দেখে সেখানে আমার স্ত্রী পড়ে রয়েছে ৷ মায়ের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ ততক্ষণে মারা গিয়েছে সে ৷ আমি নিশ্চিত, ভাই এই কাজ করেছে ৷ কেন সে এমন কাজ করল জানি না৷ ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল না ৷"
জগন্নাথবাবু কিছু বলতে না চাইলেও এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বউদি ও দেওরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ৷ স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করছিল সন্ধ্যা ৷ সেটা ঈশ্বর মেনে নিতে পারেনি ৷ এনিয়ে গ্রামে এর আগে সালিশিসভাও হয়েছে ৷ ঈশ্বর সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিল থানাতেও ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছিল ৷ সম্ভবত গতরাতে এনিয়েই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ তখনই রাগের মাথায় বউদিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ঈশ্বর ৷
এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেল অথচ কেউ টের পেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার অনেকেই ৷ হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷