মালদা, 8 অগস্ট: পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূহত্যার অভিযোগ মালদায় ৷ প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার মালদা মেডিক্যালে ওই বধূর মৃত্যু হয় ৷ এই নিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত বধূর বাবা ৷ যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে স্বামী-সহ বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি ৷
ঘটনাটি রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের সম্বলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আজিমগঞ্জ গ্রামের ৷ মৃত বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা রবিদাস (23) ৷ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার রবিদাস পেশায় নাপিত ৷ অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য ঢাকও বাজান তিনি ৷ তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে গ্রামেরই যুবক আকালু রবিদাসের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ রাজকুমারবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দু'জনের ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন ৷ বছর তিনেক আগে আকালু-প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয় সামাজিকভাবেই ৷ বিয়ের সময় জামাইকে নিজের সাধ্যমতো পণ দিয়েছিলেন রাজকুমারবাবু ৷
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আকালু ও তার পরিবারের লোকজন প্রিয়াঙ্কার উপর অতিরিক্ত পণের দাবি জানাতে শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে নাকি মাঝেমধ্যেই মারধর করা হত ৷ মেয়ের দিকে তাকিয়ে রাজকুমারবাবু মাঝেমধ্যে জামাইকে অল্পবিস্তর টাকাপয়সাও দিতেন ৷ অভিযোগ, কিছুদিন আগে আকালু ও তার বাড়ির সদস্যরা প্রিয়াঙ্কাকে বাপের বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে ৷ কিন্তু অত টাকা জামাইকে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না রাজকুমারবাবুদের ৷ এতে প্রিয়াঙ্কার উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় ৷