পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

HS Examinee in Malda: ফোর্থ সাবজেক্ট নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে পরীক্ষায় বসতে বাধা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে - Higher secondary student

অ্যাডমিট কার্ড বিভ্রান্তির জেরে পরীক্ষা দিতে পারল না উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া (HS Examinee) ৷ দোষ কার, উঠছে প্রশ্ন ৷

HS Examinee
ফোর্থ সাবজেক্ট নিয়ে বিভ্রান্তি

By

Published : Mar 25, 2023, 11:05 PM IST

পরীক্ষাতে বাধা উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াকে

মালদা, 25 মার্চ:বিভ্রান্তি অ্যাডমিট কার্ডে ৷ তার জেরে ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষা দেওয়া হল না উচ্চমাধ্যমিকের এক পড়ুয়ার ৷ তার অভিযোগ, সে যে মাদ্রাসায় পড়ত, তার প্রধান শিক্ষকের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তার চেক স্লিপও বিকৃত করা হয়েছে ৷ এতে তার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ে গেল ৷ ওই পরীক্ষার্থীর আরও অভিযোগ, এ বিষয়ে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক তার দাদাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন ৷ যদিও একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷

ওই পরীক্ষার্থীর নাম শবনম খাতুন ৷ বাড়ি চাঁচল থানার হাজাতপুর গ্রামে ৷ সে থাহাহাটি হাই মাদ্রাসা থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ সিট পড়েছে শীতলপুর হাইস্কুলে ৷ আজ ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষা ছিল ৷ তার দাবি, সে ফর্ম ফিল-আপ করার সময় ফোর্থ সাবজেক্টের জায়গায় আরবি ভাষা লিখেছিল ৷ কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার কোনও উল্লেখ ছিল না ৷ সে বিষয়টি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এর জন্য তার পরীক্ষা দেওয়া আটকাবে না ৷ তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন ৷ কিন্তু সে আজ পরীক্ষা দিতে গেলে শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, অ্যাডমিট কার্ডে কোনও উল্লেখ না থাকায় তাকে ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না ৷

শবনমের বক্তব্য, পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড বিভ্রান্তির বিষয়টি জানাতেই এক শিক্ষিকা জানিয়ে দেন, সে পরীক্ষা দিতে পারবে না ৷ তবু সে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়েছিল ৷ পরে সেখান থেকে বাড়ি গিয়ে বাবা-দাদাকে বিষয়টি জানায় শাবনম ৷ সে বলে, "আমার বাংলা পরীক্ষা ভালো হয়নি ৷ ভেবেছিলাম ফোর্থ সাবজেক্টের নম্বরে সেই ঘাটতি কাজে লাগাব ৷ ফর্ম ফিল আপের সময় আমি ফোর্থ সাবজেক্টে আরবি ভাষার উল্লেখ করেছিলাম ৷ পরে আমি নিজের মাদ্রাসায় এলে প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ৷ আমি চেক লিস্ট দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে সেটা দেখাতেও অস্বীকার করেন ৷ পরে অবশ্য তা দেখানো হয় ৷ দেখি, ফোর্থ সাবজেক্টের জায়গা ঘষে মুছে ফেলা হয়েছে ৷ তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ৷ আমার দাদা চেক লিস্টের ছবি তুলতে গেলে তার গায়ে হাত তোলা হয় ৷ তার মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় ৷ এরপরেই আমাদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ এখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে ৷ গোটা ঘটনা তাতে রয়েছে ৷"

শবনমের দাদা আকাশ খান জানান, অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের উল্লেখ না থাকায় শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ বোনকে আজ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি ৷ তাঁরা আগেই বিষয়টি থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, এতে সমস্যা হবে না ৷ কিন্তু আজ তিনি তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ৷ আকাশ বলেন, "বোনের চেক লিস্ট দেখেই বুঝে যাই, সেটা বিকৃত করা হয়েছে ৷ আমি তার ছবি তুলতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমার মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেন ৷ আমার গায়ে হাত তোলেন ৷ প্রধান শিক্ষকের জন্যই আমার বোনের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ে গেল ৷ আমি এসডিও এবং বিডিওকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি ৷"

শীতলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেনুর হকের বক্তব্য, ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে ফোর্থ সাবজেক্টের কোনও উল্লেখ ছিল না ৷ তাই কাউন্সিলের নির্দেশিকা মেনেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি ৷ এতে তাদের কিছু করার নেই ৷ তবে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুসলেমুদ্দিন আহমেদ ৷ এমনকী ফোনও ধরেননি তিনি ৷

আরও পড়ুন:সিট খোঁজা নিয়ে বচসা দু'টি স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে, উত্তেজনা ভিঙ্গোলে

ABOUT THE AUTHOR

...view details