মালদা, 25 মার্চ:বিভ্রান্তি অ্যাডমিট কার্ডে ৷ তার জেরে ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষা দেওয়া হল না উচ্চমাধ্যমিকের এক পড়ুয়ার ৷ তার অভিযোগ, সে যে মাদ্রাসায় পড়ত, তার প্রধান শিক্ষকের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তার চেক স্লিপও বিকৃত করা হয়েছে ৷ এতে তার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ে গেল ৷ ওই পরীক্ষার্থীর আরও অভিযোগ, এ বিষয়ে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক তার দাদাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন ৷ যদিও একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷
ওই পরীক্ষার্থীর নাম শবনম খাতুন ৷ বাড়ি চাঁচল থানার হাজাতপুর গ্রামে ৷ সে থাহাহাটি হাই মাদ্রাসা থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ সিট পড়েছে শীতলপুর হাইস্কুলে ৷ আজ ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষা ছিল ৷ তার দাবি, সে ফর্ম ফিল-আপ করার সময় ফোর্থ সাবজেক্টের জায়গায় আরবি ভাষা লিখেছিল ৷ কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার কোনও উল্লেখ ছিল না ৷ সে বিষয়টি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এর জন্য তার পরীক্ষা দেওয়া আটকাবে না ৷ তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন ৷ কিন্তু সে আজ পরীক্ষা দিতে গেলে শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, অ্যাডমিট কার্ডে কোনও উল্লেখ না থাকায় তাকে ফোর্থ সাবজেক্টের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না ৷
শবনমের বক্তব্য, পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড বিভ্রান্তির বিষয়টি জানাতেই এক শিক্ষিকা জানিয়ে দেন, সে পরীক্ষা দিতে পারবে না ৷ তবু সে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়েছিল ৷ পরে সেখান থেকে বাড়ি গিয়ে বাবা-দাদাকে বিষয়টি জানায় শাবনম ৷ সে বলে, "আমার বাংলা পরীক্ষা ভালো হয়নি ৷ ভেবেছিলাম ফোর্থ সাবজেক্টের নম্বরে সেই ঘাটতি কাজে লাগাব ৷ ফর্ম ফিল আপের সময় আমি ফোর্থ সাবজেক্টে আরবি ভাষার উল্লেখ করেছিলাম ৷ পরে আমি নিজের মাদ্রাসায় এলে প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ৷ আমি চেক লিস্ট দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে সেটা দেখাতেও অস্বীকার করেন ৷ পরে অবশ্য তা দেখানো হয় ৷ দেখি, ফোর্থ সাবজেক্টের জায়গা ঘষে মুছে ফেলা হয়েছে ৷ তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ৷ আমার দাদা চেক লিস্টের ছবি তুলতে গেলে তার গায়ে হাত তোলা হয় ৷ তার মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় ৷ এরপরেই আমাদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ এখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে ৷ গোটা ঘটনা তাতে রয়েছে ৷"