মালদা, 23 সেপ্টেম্বর:মালদার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য এক ছাত্রীকে এবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ যদিও অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপস নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই ছাত্রী ৷ এ দিকে জেলাশাসক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে দুষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ৷ প্রশাসনকে বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে ৷ এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় জেলার শিক্ষা মহলে ৷
হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিভাবকদের একাংশ ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, মোবাইল ট্যাব-সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পে পড়ুয়াদের কাছে কাটমানি নেন প্রধান শিক্ষক ৷ কাটমানি না দিলে কোনও পড়ুয়ার নাম সরকারি প্রকল্পের তালিকায় ওঠে না ৷ অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি তাঁর এমন অনেক মেয়েকে তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী দেখিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন ৷ অথচ, তালিকাভুক্ত ছাত্রীরা মাদ্রাসার ছাত্রীই নয়। এর মধ্যে অনেক বিবাহিত মহিলাও রয়েছেন ৷ আরও অভিযোগ, মাদ্রাসার ফান্ডের টাকাও তিনি অসৎ উপায়ে হস্তগত করেছেন ৷
আরও পড়ুন:কন্যাশ্রী-সবুজসাথীতে দুর্নীতি! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের