মালদা, 30 সেপ্টেম্বর : নিকাহে্র 15 দিনের মাথায় বাড়ির ভিতর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেগুন গ্রামে ৷ আজ সকালে যুবকের শোওয়ার ঘর থেকেই দেহ উদ্ধার করে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ ৷ যুবকের পরিবার এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, কেউ বা কারা খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই যুবককে ৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷
বছর কুড়ির ওই যুবকের নাম সানাউল্লা ৷ ছোটোবেলাতেই আব্বা মারা যান ৷ 15 দিন আগে সানাউল্লার নিকাহ্ হয়েছিল গ্রামেরই যুবতি তাজেমা খাতুনের সঙ্গে ৷ নিকাহে্র পর আব্বার বাড়িতেই থাকতেন তাজেমা ৷ কথা ছিল, বছরখানেক বাদে তাঁকে ঘরে নিয়ে আসবেন সানাউল্লা ৷ মৃতের আম্মা নাজেমা বেওয়া বলেন, "ছেলের পাবজি খেলার নেশা ছিল ৷ গতকাল রাত 10টার সময় আমরা একসঙ্গেই রাতের খাবার খাই ৷ গতকাল আমার জা বাড়িতে না থাকায় তাঁর বাড়ি ঘুমোতে গিয়েছিলাম ৷ ভোর 5টায় এসে ছেলেকে ডাক দিই ৷ কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাইনি ৷ ভেবেছিলাম অনেক রাত পর্যন্ত হয়ত পাবজি খেলেছে ৷ দেওরের ছেলেকে ডেকে এনে বাড়ির গেট খুলি ৷ রাতের বাসনপত্র মাজার পরও ছেলে না ওঠায় আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি ও ঘরের ভিতর ঝুলছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের খবর দিই ৷ মাত্র 10 দিন আগে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম ৷ আমার সন্দেহ, কেউ বা কারা ওকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে ৷ ওর সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে ৷"