ব্রিজ দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিক পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য় তুলে দিলেন রাজ্যপাল মালদা, 25 অগস্ট: মিজোরামে রেল ব্রিজ ভেঙে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ মালদার কোকলামারির চৌদুয়ার গ্রামে গিয়ে রেলের তরফে আর্থিক সাহায্য হিসেবে 50 হাজার টাকা নগদ এবং সাড়ে 9 লক্ষ টাকার চেক ব্রিজ দুর্ঘটনায় এক নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেন তিনি ৷ আশ্বাস দিলেন, সরকার প্রত্যেক নিহতের পরিবারের পাশে থাকবে ৷ এ দিন রাজ্যপালের কাছে নিহতদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরির দাবি জানানো হয় ৷
আজ সকাল থেকেই কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামে ভিড় করেছিল মানুষজন ৷ কারণ সবাই জেনে গিয়েছিলেন, আজ গ্রামে আসছেন রাজ্যপাল ৷ সকাল থেকে গ্রামে আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তা ছিল ৷ রাজ্যপালের জন্য আগে থেকে গ্রামের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় 10 নিহতদের পরিবারের সদ্যরা অপেক্ষা করছিলেন ৷ রেলের ঘোষণা অনুযায়ী, নিহতদের পরিবারের হাতে 10 লক্ষ টাকা তুলে দিতেই এ দিন চৌদুয়ার গ্রামে যান সিভি আনন্দ বোস ৷ তবে, সকলের হাতে নয় ৷ একটি পরিবারের হাতে রেলের 50 হাজার টাকা নগদ এবং বাকি সাড়ে 9 লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন রাজ্যপাল ৷ এর পর প্রায় আধ ঘণ্টা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন সিভি আনন্দ বোস ৷
এ দিন রাজ্যপালের কাছে নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি ওঠে ৷ যা তিনি রেলমন্ত্রক এবং সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ রাজ্যপাল বলেন, “দুর্ঘটনার পরেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে 10 লক্ষ, গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে 2 লক্ষ এবং অল্পবিস্তর জখমদের প্রত্যেককে 50 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ তিনি টুইট করেও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানিয়ে দেন ৷ আজ রেলের তরফে এখানে একজনের পরিবারকে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল ৷ দু-একদিনের মধ্যে রেলের আধিকারিকরা বাকি পরিবারগুলির হাতেও ক্ষতিপূরণের নগদ টাকা ও চেক তুলে দেবেন ৷ মৃতদের পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে দাবি করেছেন, তাঁদের পরিবারের একজনকে যেন চাকরির ব্যবস্থা করা হয়৷ আমি এই আবেদন রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দেব ৷”
আরও পড়ুন:মালদায় গেলেন রাজ্যপাল, দেখা করবেন মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে
মিজোরামে নিহত এক শ্রমিকের আত্মীয় রফিকুল আলম বলেন, “রাজ্যপালের কাছে আমাদের সবার দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিতে রেলের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ তাই মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে রেলে চাকরি দিতে হবে ৷ একইসঙ্গে প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে ৷’’ তবে, এ দিন রাজ্যপালকে দেখার জন্য চৌদুয়ার গ্রামে ভিড়ের কারণে তিলধারণের জায়গা ছিল না ৷ তার উপর পুলিশি নিরাপত্তা ৷ এই অবস্থায় 2 জন গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷