মালদা, 17 নভেম্বর: বয়স 150 বছরেরও বেশি ৷ অথচ এখনও জঞ্জাল অপসারণের পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি পুরাতন মালদা পৌরসভা ৷ স্থায়ী ভাগাড় না থাকায় শহর জুড়ে জমছে জঞ্জাল ৷ সে সব ফেলা হচ্ছে জাতীয় সড়কের ধারে কিংবা কোনও খাস জায়গায় ৷ এতে এলাকায় দূষণ বাড়ছে ৷ পরিস্থিতি জটিল দেখে এগিয়ে এসেছিল জেলা প্রশাসন ৷ স্থায়ী ভাগাড় তৈরির জন্য প্রশাসনের তরফে পৌর কর্তৃপক্ষকে এক বিঘা সরকারি খাস জমিও দেওয়া হয় ৷ তাতেও পুরনো ছবির কোনও বদল হয়নি ৷ পৌর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মাত্র এক বিঘা জমিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব নয় ৷ প্রয়োজন আরও জমির ৷ আরও তিন বিঘা জমি চেয়ে তারা জেলা প্রশাসনকে ফের চিঠি দিয়েছে ৷ এ দিকে, এই জটে প্রাণান্তকর অবস্থা শহরবাসীর ৷ কবে এই সমস্যা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন, কেউ জানে না ৷
পুরাতন মালদা পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড রয়েছে 20টি ৷ জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ ৷ প্রতিদিন সকালে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করেন সাফাইকর্মীরা ৷ কিন্তু সেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই ৷ এর আগে জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের তাড়া খেতে হয়েছে পৌরকর্মীদের ৷ দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টার কথা বলছে পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ ভাগাড় নির্মাণের জন্য তারা নাকি বিভিন্ন জায়গায় জমিও দেখেছে ৷ কিন্তু সেই চেষ্টা এখনও পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায়নি ৷ অবশেষে গত অগস্টে জেলা প্রশাসন সুজাপুরের রাঙামাটি এলাকায় এক বিঘা সরকারি খাস জমি পৌর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে ৷ সেখানে স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণের কথা বলা হয় ৷