মালদা, 3 অক্টোবর :পুজোর মুখে ডেঙ্গির চোখরাঙানিতে সন্ত্রস্ত গোটা মালদা জেলা ৷ বিশেষ করে মালদা শহরে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে ৷ ইতিমধ্যেই এই জেলায় প্রায় ১৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে ৷ জ্বর এখন ঘরে ঘরে ৷ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন,জ্বর হলেই রোগীকে যেন কাছাকাছি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু খোদ মালদা মেডিক্যালই এই বর্ষায় যেন ডেঙ্গির হটস্পট ৷ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা ৷ তার পাশেই ঘুমোচ্ছেন রোগীদের পরিজনরা ৷ দেখা মিলছে জমা জলেরও ৷
এদিকে আবার ইংরেজবাজার পৌরসভার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেডিক্যালের সাফাইয়ের বিষয়টি দেখাশোনা করে সেখানকার রোগী কল্যাণ সমিতি ৷ সেখানে পৌরসভার কোনও ভূমিকা নেই ৷ যদিও এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পরিষ্কার করা হয়েছে মেডিক্যাল হাসপাতাল চত্বর ৷ সোমবার সকাল পর্যন্ত আবর্জনায় ভরপুর ছিল মালদা মেডিক্যাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকা ৷ বিশেষত মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার চারপাশের যা অবস্থা হয়েছিল তা চোখে দেখা যাচ্ছিল না ৷ সেখানেই দিনরাত কাটাতে হয় চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিজনদের অধিকাংশকে ৷
প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, অন্ধকার নামলে মশার উৎপাতে সেখানে আর থাকা যায় না ৷ এই চত্বরে চোখে পড়েনি কোনও ডাস্টবিনও ৷ সব মিলিয়ে তাঁদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সময় কাটাতে হয় ৷ গাজোলের তারিকুল আনসারি নামে এক ব্যক্তির ভাগ্নে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৷ ১০ দিন ধরে তাই সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে ৷ তিনি বলছেন, “এখানে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে রয়েছে ৷ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ৷ রাত হলে মশার উৎপাতে ঘুমানো যায় না ৷ অনেকে এখানে থাকতে না পেরে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন ৷ আমাদের অত টাকা নেই ৷ যাব কোথায়? এটা থাকার জায়গা, অথচ এখানে সাফাই করা হয় না ৷ রাতে যেখানে সেখানে ওষুধপত্র ফেলে চলে যাচ্ছে ৷ কিছু করার নেই ৷ এভাবেই এখানে থাকতে হচ্ছে ৷”