মালদা, 25 জুলাই: কিছুদিন আগে বৈষ্ণবনগর থানার পিটিএস মোড়ের এক বাসিন্দা সাইবার ক্রাইম থানায় 5 লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছিলেন (Two Arrested for Cyber Fraud) । অভিযোগ পত্রে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, মোবাইল কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারের নামে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে । সিম কার্ড চালু রাখতে তাঁকে ভেরিফিকেশন করতে বলা হয় । ভেরিফিকেশনের জন্য তাঁকে একটি ওটিপি পাঠানো হয় । সেই ওটিপি তিনি তাদের জানান ৷ এরপরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে 5 লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায় । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে খোঁজ চালাতে থাকে ।
ট্র্যাকিং করে পুলিশের হাতে আসে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর । তবে সেই সিম ও মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হয় পুলিশকে । এদিকে, কয়েকদিন আগে দেওঘর থানার পুলিশ সাইবার প্রতারণা চক্রে 11 জনকে গ্রেফতার করে । ধৃতদের হেফাজত থেকে পুলিশের হাতে আসে প্রতারণায় ব্যবহৃত 625টি সিম ও 162টি আইএমইআই নম্বর । ঘটনাচক্রে দেখা যায় পিটিএস মোড়ের বাসিন্দার প্রতারণায় ব্যবহৃত আইএমইআই নম্বরও রয়েছে তার মধ্যে । এরপরেই মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ দেওঘর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে । উঠে আসে সাইবার প্রতারণার মাস্টার প্ল্যানিং ।
আরও পড়ুন :অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে রাজস্থান পুলিশের জালে রাজ্যের 2 প্রতারক