মালদা, 23 অক্টোবর : মালদায় গণধর্ষণ এক যুবতিকে ৷ তার পরিবারের অভিযোগ, শওহরকে তাড়িয়ে দিয়ে ওই যুবতিকে ধর্ষণ করা হয় ৷ পুরোনো মালদা থানায় মোট 11 জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ৷ তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ৷ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতা যুবতির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে ৷
নির্যাতিতা ওই বধূর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা থানা এলাকার একটি গ্রামে ৷ ইংরেজবাজার থানার একটি গ্রামে তাঁর মাসির বাড়ি ৷ মাসির বাড়ি যাওয়ার সহজ রাস্তা পুরাতন মালদার নবাবগঞ্জ এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পেরোনো ৷ ওই দম্পতি গতকাল রাত ১০টা নাগাদ নবাবগঞ্জের গুজরঘাটে উপস্থিত হন ৷ কিন্তু সম্প্রতি নৌকাডুবির দুটি ঘটনার পর জেলা প্রশাসন রাতে খেয়ানৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ ঘাটে নৌকা না পেয়ে যুবতিটি তাঁর মাসির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ৷ তাঁর শওহর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ৷ বছর কুড়ির ওই যুবতির অভিযোগ, সেই সময় ঘাটের পাশে থাকা একটি বড়ো পাকা বাড়ি থেকে জনা দশেক যুবক তাঁদের সামনে উপস্থিত হয় ৷ তারা তাঁর শওহরকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ৷ খুন করার ভয় দেখিয়ে তারা শওহরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ এরপর ওই যুবকরা তাঁকে জোর করে সেখান থেকে একটি নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যায়৷ সেখানে দুই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে৷ তাদের নাম বাবলু ভগত ওরফে বাহাদুর ও ড্যানি সাহা ওরফে ছোটন ৷ তিনি বুঝতে পারেন, বাকি যুবকরাও তাঁর উপর অত্যাচার চালাবে ৷ তাই লোকলজ্জা দূরে সরিয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন ৷ তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে এলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ ততক্ষণে তাঁর মাসির বাড়ির লোকজনও সেখানে উপস্থিত হয়৷ তাঁরাই তাঁকে মাসির বাড়িতে নিয়ে যায়৷ আজ সন্ধেয় তিনি মালদা থানায় মূল অভিযুক্ত দু’জন সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এই ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম তিনি জানতে পারেননি ৷