মালদা, 24 সেপ্টেম্বর : টেনে টুনে মাধ্যমিক পাশ ৷ অথচ বোর্ডে লেখা জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান ৷ রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয় ৷ শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই চিকিৎসা করেন তিনি ৷ দেন ওষুধও ৷ আবার কোনও সময় প্রয়োজন পড়লে দেন ইনজেকশন ও সেলাইন ৷ এরকমই এক ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজ মিলল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে ৷ নাম মহম্মদ নাদিম ৷
মাধ্যমিক পাশ, বোর্ডে লেখা 'জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান'
শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। অথচ নামের পাশে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখে দিব্যি চলছে চিকিৎসা পরিষেবা। জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ শুধু নয় প্রয়োজনে স্যালাইন থেকে ইনজেকশন সবই দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এমনই ছবি ধরা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে।
মহম্মদ নাদিম বিহারের বাসিন্দা ৷ বছর সাতেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে বসবাস শুরু করেন তিনি ৷ সুলতাননগর বাজার এলাকায় প্রথম নিজের ওষুধের দোকান খোলেন । এরপরই সাইনবোর্ডে রাতারাতি নিজের নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখে ডাক্তার হয়ে যান । বছর সাতেক ধরে এভাবেই চলছে তাঁর ব্যবসা । শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক স্বীকার করলেও ক্যামেরার মুখোমুখি হতেই চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উলটো কথা বলতে শুরু করেন নাদিম । বলেন, "সাত বছর ধরে গ্রামে পরিষেবা দিচ্ছি । জরুরি অবস্থায় গ্রামবাসীদের জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ দিই । প্রয়োজন পড়লে আমি ইনেজশন বা স্যালাইনের কথা লিখে দিই ৷ কিন্তু ওইগুলি আমি দিই না । গ্রামবাসীরা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে এসে দিতে বললে দিয়ে দিই । আমার দোকানে জরুরি সময়ের জন্য স্যালাইন মজুত করা আছে ।" নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লেখা নিয়ে তিনি বলেন, "যাকে বোর্ড লিখতে দিয়েছিলাম সে ভুলবশত জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখেছে ।"
যদিও, এবিষয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "বিষয়টি আমার জানা ছিল না । আমি এখনই খবর নিয়ে দেখছি । ভুয়ো ডাক্তারের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ি পদক্ষেপ করা হবে । যেকোনও এলাকায় ভুয়ো ডাক্তার থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় । আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব ।"