মালদা, 23 অগস্ট : গঙ্গার ভাঙন (Erosion of Ganges) শুরু হয়েছিল অগস্ট শুরু হতেই । মালদার (Malda) মানিকচক থেকে সেই ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লক পর্যন্ত । প্রতিদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি, বসত বাড়ি । ইতিমধ্যেই কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে গঙ্গা গিলে নিয়েছে 18টি বাড়ি । আজ ফের ভাঙন শুরু হয়েছে মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর এলাকায় ।
দু’বছর আগে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বীরনগর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গারামটোলা ও ভীমাটোলায় গঙ্গার ভাঙনে অন্তত একশো বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল । এবারও দুর্গারামটোলায় ভাঙন শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে 16টি বাড়ি ৷ আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে সরে যেতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । গতকাল সন্ধে পর্যন্ত গঙ্গা অন্তত দেড়শো মিটার ভিতরে চলে এসেছে ।
আজ ভোর থেকে ভাঙন বন্ধ থাকলেও নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় যে কোনও মুহূর্তে গঙ্গা আবারও রুদ্রমূর্তি ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই । গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সীমা রায় হালদার জানিয়েছেন, 2020 সালের ভাঙনে বিপর্যস্ত মানুষজন সবাই এখনও পুনর্বাসন পাননি । তারই মধ্যে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হল । তাঁরা পুরো বিষয়টি ব্লক অফিসে জানিয়েছেন ।
এদিকে আজ সকালে গঙ্গার তীব্র ভাঙন দেখা গিয়েছে মানিকচক ব্লকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর এলাকায় । গত কয়েকদিন ধরে অল্পবিস্তর ভাঙন চললেও আজ সকালে তার তীব্রতা বাড়ে । প্রায় 100 মিটার ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । গঙ্গাগর্ভে নদীবাঁধের একাংশও । এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে গোটা বাঁধটাই এবার তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা । বাঁধ বাঁচাতে সেচ দফতর মাটির বস্তা নদীতে ফেলতে শুরু করলেও তাতে খুশি নন স্থানীয়রা । তাঁরা জানাচ্ছেন, বালি বা মাটির বস্তা দিয়ে কখনই বাঁধ রক্ষা করা যাবে না । এর জন্য ভাঙনরোধের স্থায়ী কাজের প্রয়োজন ।