মালদা, 21 ফেব্রুয়ারি:আজব ব্যাপার ৷ ভোটার তালিকা বলছে, প্রশাসনের আনুকূল্যে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন পাঁচজন (Election Commission labels people alive as dead) ৷ আরও 44 জন ভোটার তালিকায় মৃত হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় ৷ অথচ 49 জনই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তায় ৷ শুধু তাই নয়, তাঁদের মৃত ঘোষণার প্রতিবাদে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন প্রকাশ্যে ৷ এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সংলগ্ন শ্মশানি গ্রামে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও ৷ বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, রাজনৈতিক কারণেই জীবিতদের নাম ভোটার তালিকায় মৃত হিসাবে দেখানো হচ্ছে ৷ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের ৷
ঘটনাটি ঘটেছে শ্মশানি গ্রামের 74 ও 75 নম্বর বুথ এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই 75 নম্বর বুথের পাঁচজন জীবিত ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় মৃত হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সেখানেই শেষ নয়, ওই দু'টি বুথের আরও 44 জনকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের আবেদন অনলাইনে জমা পড়েছে ৷ বিষয়টি জানতে পেরেই বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও মামুন আখতার ৷ তবে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ ৷
এক গ্রামবাসী নাকিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, "কে বা কারা প্রশাসনের কাছে 7 নং ফর্ম জমা দিয়ে এই দু'টি বুথের মোট 44 জনের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা করেছে ৷ এই 44 জন নাকি মৃত ৷ এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ৷ সাইবার ক্রাইম বিভাগকে এ নিয়ে তদন্ত করানো প্রয়োজন ৷ উপযুক্ত তদন্ত করে এই 44 জনের সঙ্গে আগের পাঁচজনের নামও যেন ভোটার লিস্টে থাকে, তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷ বিডিও বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর আশ্বাসে আমাদের আর ভরসা নেই ৷ এ নিয়ে বড়সড় আন্দোলনও হতে পারে ৷ ভোটার লিস্টে এই 49 জনের নাম না-থাকলে আমরা ভোট বয়কট করব ৷"