মালদা, 27 মার্চ : গ্রামের মহিলাদের হাতে ধৃত তিন মাদক কারবারি। ঘটনাটি সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকার। অভিযুক্তেরা হল মায়া দেবনাথ, অজয় মণ্ডল ও সুমন ঘোষ। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুরাতন মালদায় মাদক কারবারের বিরুদ্ধে প্রমীলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত। কয়েকদিন আগেও স্থানীয় মহিলারা এলাকা থেকে দুই মাদক কারবারিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি মাদক কারবারের ব্যবহার। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় রায়পুর এলাকাতেও মাদক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছিল। আজ আবারও সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকার স্থানীয় মহিলারা 3 জন মাদক কারবারিকে ধরে ফেলেন। তার মধ্যে রয়েছে এক মহিলা প্রতিবন্ধী কারবারিও (মায়া দেবনাথ)।
স্থানীয় মহিলারা বলেন, প্রতিবন্ধী মায়াই নিজের বাড়িতে মাদক বিক্রি করেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হেরোইনের পুরিয়া। এরপরই অভিযান চালালে অজয় মণ্ডল ও সুমন ঘোষ ধরা পড়ে। তার মধ্যে অজয় মণ্ডলের বাড়ি স্থানীয় চর কাদিরপুর গ্রামে। সুমন ঘোষের বাড়ি ইংরেজবাজারের কাঞ্চনটার এলাকার খাসিমারি গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ আলি বলেন, "গ্রামে হেরোইনের মতো মাদক বিক্রি করছে মায়া দেবনাথ। এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে গ্রামের ছোটো বড় সব ছেলেরা। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা বাড়িতেই হাতের সামনে যা পাচ্ছে তা বিক্রি করছে। আজ গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে 3 জনকে ধরে ফেলেছে। আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা চাই, এখান থেকে যেন এইরকম বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করা হয়।"
গ্রামের আরেক বাসিন্দা জালেখা বিবি বলেন, "গ্রামের যে 3-4টি বাড়িতে হেরোইন বিক্রি হয় তাদের আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনও কথাই পাত্তা দেয়নি। আজ হাতেনাতে আমরা 3 জনকে ধরে ফেলেছি। ছোটো ছোটো বাচ্চারাও এখন এই নেশায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে এই ব্যবসা বন্ধ করতে চাই।"
মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সুমন ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।