মালদা, 8 মে: একে কোরোনায় রক্ষা নেই, তার উপর আন্ত্রিকের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের কয়েকটি গ্রামে ৷ গ্রামগুলিতে পানীয় জল না মেলায় সেখানকার বাসিন্দারা এখন বাধ্য হয়ে নলকূপ এমনকী পুকুরের জল পান করছেন ৷ এতেই এলাকার কয়েকজন আন্ত্রিক সহ বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখে ভুগত শুরু করেছেন ৷ অভিযোগ, বিষয়টি জানিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক, BDO, এমনকী মহকুমাশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ তবে মহকুমাশাসকের বক্তব্য, লকডাউন মিটলেই সমস্যার সমাধান হবে।
সম্প্রতি 81 নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় ৷ লকডাউনের আগে সেই কাজের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় ওই সড়কের দুই ধারে মাটি খোঁড়া হয় ৷ তাতেই অনেক জায়গায় আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের বারিয়াল, বাংরুয়া, ভবানীপুর ও বনসারিয়া গ্রামের হাজার চারেক বাসিন্দাকে ৷ মাস চারেক ধরে এই গ্রামগুলিতে পরিশ্রুত আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে না ৷ সাধারণত এই এলাকায় তুলসিহাটা PHE রিজ়ার্ভার থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে৷ সেখানকার কর্মীরা জানাচ্ছেন, পাইপলাইন ঠিক না হলে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব নয় ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক, BDO এমনকী মহকুমাশাসকের দপ্তরে বিষয়টি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ কাজ শুরু হয়েও লকডাউনের জন্য তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁদের নলকূপ এমনকী পুকুরের জলও খেতে হচ্ছে। যার ফলে গ্রামবাসীদের অনেকেই আন্ত্রিক সহ বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন।