আচমকা হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ জেলাশাসকের মালদা, 19 মার্চ: আচমকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মালদার জেলাশাসক (District Magistrate) নিতীন সিংঘানিয়া ৷ হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁর ৷ দেখেন হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন একাধিক রোগী ৷ মেঝেতে শুয়েই চলছে তাঁদের চিকিৎসা ৷ এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জেলাশাসক ৷ যদিও পরিষেবা নিয়ে সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি ৷
মালদা জেলায় দুটি মহকুমা ৷ এর মধ্যে চাঁচল মহকুমার স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Chanchal Super Speciality Hospital) উপর নির্ভরশীল ৷ 6টি ব্লকের মানুষের ভরসা এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ৷ তবে রোগীদের চাপ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই এই হাসপাতালে ৷ শনিবার রাতে আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে সেই ছবি ধরা পড়েছে জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়ার চোখে ৷ সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরি ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক ৷ হাসপাতালে ঢুকেই জেলাশাসক দেখেন সেখানকার সমস্ত শয্যা পরিপূর্ণ ৷ বহু রোগী হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি ৷ শয্যা সংখ্যা বাড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-সহ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ৷
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চলছে চিকিৎসা নিতীন সিংঘানিয়া বলেন, "চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ৷ আমরা দ্রুত হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ দ্রুত হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে ৷ এনিয়ে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতাল সুপারকে বলা হয়েছে ৷ শেষ বৈঠকের পর এখানে প্রতিক্ষালয় করা হয়েছে ৷ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বেশ কিছু সার্জারি এখানে করা, হাসপাতালের কোয়াটারগুলিকে সংস্কার করা-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷"
মহম্মদ সহিদ নামে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর স্ত্রী চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি ৷ বেড না-পেয়ে স্ত্রী মাটিতে শুয়ে রয়েছেন ৷ তবে শুধু তিনি নন, অনেকেই এভাবে মাটিতে শুয়ে রয়েছেন ৷ এভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা চলছে তাঁদের ৷ শৌচালয়ের অবস্থাও ভালো নয় বলে জানান সহিদ ৷ তাঁর দাবি, রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর শৌচালয় থাকা দরকার ৷ কিন্তু এত নোংরা শৌচালয় যে রোগীরা সেখানে যেতে পারছেন না ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়গুলির দিকে নজর দেওয়া ৷ জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর আবেদন যাতে দ্রুত হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং শৌচালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন:দেড় মাস ধরে বিকল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, সমস্যায় রোগীরা