জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগকে ডিজিটাল করা হয়েছে মালদা, 17 ডিসেম্বর: আর কাগজ-কলম নয়, ডিজিটাল মাধ্যমে ঢুকে পড়ল পুরাতন মালদার গৌড় কলেজের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগ (Department of Journalism and mass communication has been Digitized) ৷ মালদা জেলার মধ্যে সবার আগে গৌড় কলেজের এই বিভাগকেই পেপারলেস করা হয়েছে ৷ এর জন্য পড়ুয়াদেরই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন কলেজের বিভাগীয় প্রধান ৷ তাঁর আশা, আগামীতে জেলার প্রতিটি কলেজের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটাল হবে ৷
গৌড় কলেজের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান নাফিসা খান নাজি বলেন, "কোভিডের সময় থেকেই এই বিষয়টি আমাদের মাথায় এসেছিল ৷ তখন আমরা ডিজিটাল কাজ করতে পারিনি ৷ তাই আমাদের কলেজে যেতে হত ৷ তখনই আমরা ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে শুরু করি ৷ তার আগে প্রথাগতভাবে কাগজে-কলমেই কাজ হত ৷ তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমরা আর কাগজের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখব না ৷ এতে গাছ যেমন বাঁচবে, তেমনই কাগজ বাঁচানো যাবে ৷ তাছাড়া এই বিভাগের পড়ুয়ারাও ডিজিটাল মিডিয়ায় ভালো করে কাজ করতে পারবে৷
তাছাড়া বর্তমান সময়ে প্রত্যেককে ডিজিটাল হওয়াটা খুব প্রয়োজন ৷ আমাদের বিভাগের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ুয়ারা প্রত্যেকে নিজেদের সব অ্যাসাইনমেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমেই করেছে ৷" তিনি আরও উল্লেখ এখানে কিছু অ্যাপের ব্যবহার হয়েছে ৷ আগে হাতে লেখা খাতা দু’এক বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যেত ৷ এমনকী কোনও ভুলভ্রান্তি থাকলে মার্কার ব্যবহার করে ঠিক করতে হত ৷ প্রিন্ট আউট বের করতে হত ৷ কিন্তু এখানে সেসব ঝামেলা নেই ৷ আরও আগে এই কাজ কারার উদ্যোগ নিতে হত বলে তিনি উল্লেখ করেন ৷ তবে দেরিতে হলেও মালদা গৌড় কলেজই প্রথম ডিজিটাল পরিষেবা চালু হয়েছে ৷ পড়ুয়ারাও এই মাধ্যমে খুব ভালো কাজ করেছে বলে জানান ওই শিক্ষিকা ৷ এখন থেকে গৌড় কলেজের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগ পুরোপুরি পেপারলেস হয়ে গেল ৷
আরও পড়ুন:বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ! কারণ শুনে চোখ কপালে উঠল পুলিশের
ওই কলেজের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী মঞ্জুশ্রী সিনহা বলেন, "ম্যাডামের দেখানো পথেই আমরা গোটা বিভাগটাকে ডিজিটালাইজড করেছি ৷ আমরা কাগজ আর গাছ, দুটোই বাঁচাতে চাই ৷ করোনার সময় থেকে এই ভাবনা আমাদের মাথায় আসে ৷ তখন থেকেই এই বিভাগকে ডিজিটাল করার কাজ শুরু হয় ৷ এতে আমাদের অর্থও বাঁচবে ৷ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পেপার জমা দিতে কোনও সমস্যা থাকবে না ৷ আমরা চাইব জেলার প্রতিটি কলেজের প্রতিটি বিভাগই যেন এভাবে ডিজিটাল হয় ৷"