মালদা, 24 জুলাই : নিখোঁজ হওয়ার ছ’দিন পর অবশেষে হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হল বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকা থেকে । গতকাল বিকেলে ডালখোলা ও বারসই রেল স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় রেল লাইনের ধারে একটি গাছে ওই নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ । কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আজ সকালে দেহটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিছাপা গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে । এই খবর চাউর হতেই আজ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় । মৃত নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি একটি খুনের ঘটনা ।
মৃত নেতার নাম আনেসুর রহমান । বয়স 50 বছর । তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূলের কনভেনর । 18 জুলাই থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না । এলাকায় তাঁর একটি ইটভাটা রয়েছে । ভাটাতে যাবেন বলেই গত রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি । এনিয়ে 20 জুলাই তাঁর পরিবারের লোকজন ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরিবারের বক্তব্য ছিল, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে তাঁকে অপহরণ করা হতে পারে । আগে তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসাও করতেন । ফলে তাঁর শত্রু থাকা অসম্ভব নয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বিহার পুলিশ ।
আনেসুর সাহেবের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, “গতকাল বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আমরা জানতে পারি, দাদার দেহ বাংলা-বিহার সীমান্তের একটি জায়গায় রেল লাইনের ধারে গাছ থেকে ঝুলছে । এরপরই আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করি । তিনি বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান, দেহটি কাটিহার মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে । আমরা সেখান থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছি । আমাদের ধারণা, ব্যবসা সংক্রান্ত পুরোনো শত্রুতার জেরেই দাদাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে । আমরা এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাইছি । পুলিশ খুনিদের ধরতে না পারলে আমরা সিবিআই তদন্তে দাবি জানাব । তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে আমরা মনে করছি না ।”