মিড ডে মিলের চালের ড্রামে মরা ইঁদুর, ধুন্ধুমার চাঁচলের স্কুল মালদা, 12 জানুয়ারি: চালের ড্রামে পড়ে রয়েছে মরা ইঁদুর ৷ ডালের ড্রামে মরা টিকটিকি (dead rat found in a rice container) ৷ ড্রাম খুলতেই চোখ কপালে অভিভাবকদের ৷ এনিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধালেন মালদার চাঁচল 2নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহুরগাছি বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ুয়ারা ৷ এমনকী মিড ডে মিলের খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ ৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমস্ত ঘটনা ৷
বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিল, স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার তারা খেতে পারছে না ৷ ছেলেমেয়েদের কথা শুনে বুধবার বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলে যান ৷ গিয়ে দেখেন নিম্নমানের ডাল, সবজি রান্না করার জন্য রাখা হয়েছে ৷ যা একেবারেই খাবার অযোগ্য ৷ এরপরই তাঁরা মিড ডে মিলের গুদামে চলে যান ৷ দেখেন, চালের ড্রামে পড়ে রয়েছে মরা ইঁদুর, ডালের ড্রামে মরা টিকটিকি ৷ তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা ৷ মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর গোটা গ্রামে চাউর হয়ে যায় ৷ প্রবল বিক্ষোভের খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷
আফসার আলি নামে এক অভিভাবক বলেন, "আমি স্কুলে গিয়ে ড্রামের মধ্যে মরা ইঁদুর আর মরা টিকটিকি দেখতে পেয়েছি ৷ বছরখানেক ধরেই স্কুলের পরিস্থিতি বেহাল ৷ কোনওদিন বাচ্চাদের ডিম দেওয়া হয় না ৷ 45টি বাচ্চার রান্না হয় মাত্র 100 গ্রাম তেলে ৷ 200 গ্রাম ডালে অতগুলো বাচ্চাকে খাওয়ানো হয় ৷ শিক্ষককে কিছু বলতে গেলে তিনি উত্তর দেন, সব কিছুই নাকি নিয়মমাফিক করা হচ্ছে ৷ আমরা চাই, এই স্কুলটার উন্নতি হোক ৷ শুধু মিড ডে মিল নয়, স্কুলের পরিকাঠামোরও উন্নতি করা হোক ৷"
আরও পড়ুন: ময়ূরেশ্বরে মিড-ডে মিলের বালতিতে মৃত সাপ, অসুস্থ 20 পড়ুয়া
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, "চাল-ডালের ড্রামে মরা ইঁদুর-টিকটিকি থাকার কথা আমি মানব না ৷ ওই দুটি ড্রামে কিছু রাখা হয় না ৷ আর খাবারের মান নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, সব ভিত্তিহীন ৷ সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হয় ৷ যতটা প্রয়োজন, ততটা ডাল রান্না করা হয় ৷ পড়ুয়াদের ডিমও খাওয়ানো হয় ৷” এনিয়ে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, "ঘটনাটি শুনেছি ৷ চাঁচল 2নম্বর ব্লকের বিডিওকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে ৷ তদন্তে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে ৷"