বাঁকুড়ায় অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক সুজন মালদা, 23 মে: জনসংযোগের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের নবজোয়ার যাত্রাকে ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশি ব্যবস্থা ও পরীক্ষা বাতিলের ঘটনায় সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । শনিবার মালদা জেলা শহরের সিপিআই কার্যালয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন প্রবীণ এই নেতা । পঞ্চায়েত ভোটে ঠিক কীভাবে অশান্তি ছড়ানো যায় রাজ্যে, তারই তদারকিতে অভিষেক বলে কটাক্ষ সুজনের ।
সিবিআই তলবের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা বাঁকুড়া থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে ৷ মূলত, প্রথমবার কোচবিহারের দিনহাটা থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা যেসব জেলা দিয়ে গিয়েছে, প্রতিটি জেলাতেই পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজ্যবাসীর চোখে পড়েছে৷ এমনকি বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে অভিষেকের যাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ৷ সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে নিয়োগ করা পুলিশকর্মীদের থাকার জন্য বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজ কয়েকদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাও ৷ এর প্রতিবাদে সোমবার তোপ দেগেছেন সুজন ৷ সিপিএমের প্রাক্তন এই সাংসদের বক্তব্য, "বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজ খুব নামকরা ৷ সেই কলেজে পরীক্ষা চলছে ৷ হঠাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ দু’দিন অথবা তিনদিনের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ কলেজও বন্ধ ৷ কারণ, সেখানে নাকি খোকাবাবু আসবেন ৷ ওটা তো তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি৷ তৃণমূলে কে কার থেকে বড় নেতা, কাকে টপকে কে ভোটে প্রার্থী হবে, কে গুলি চালাবে আর কে বোমা ছুড়বে, তা ঠিক করতে ভাইপো ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ যাতে ভাগাভাগিটা ভাইপো পায় ৷ ভাইপোর প্রোগ্রামে হাজার দুয়েক পুলিশ থাকবে কেন? ওটা কি কোনও সরকারি কর্মসূচি! ভাইপোর প্রোগ্রামে পুলিশ থাকবে, তার জন্য কলেজের পরীক্ষা বন্ধ কেন? ছাত্রদের কি কোনও মর্যাদা কিংবা অধিকার নেই? এর থেকে ভয়াবহ আর কিছু হয় না৷ এটা নির্লজ্জতা, চূড়ান্ত নৈরাজ্য ৷ দেখে শুনে মনে হয়, রাজ্যে শিক্ষা দফতর বলে কিছু নেই ৷"
আরও পড়ুন: নয়া উদ্যমে বাঁকুড়ায় নবজোয়ারে নামলেন অভিষেক
পাশাপাশি এই ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রী-সহ পরিবর্তনকামী বিদ্বজ্জনদেরও একহাত নেন প্রবীণ এই সিপিএম নেতা ৷ তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী আজ কোথায় ? নাটক লিখছিলেন তো ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন না কেন? আপত্তি তুলছেন না কেন? এই ঘটনার আপত্তি না করতে পারলে চেয়ার ছেড়ে চলে যান ৷ শিক্ষামন্ত্রীর চেয়ারে বসার যোগ্যতা নেই৷ আর পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তনকামী বিদ্বজ্জনরাই বা এখন কোথায়? তাঁদের কণ্ঠ এখন রুদ্ধ কেন ? এই ঘটনা তৃণমূল দলের দাপট দেখান ছাড়া আর কিছু নয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী কি কোনও উত্তর দেবেন?"