মালদা, 28 অক্টোবর : আশঙ্কা করা হয়েছিল, পুজোর 4 দিন প্রতিমা দর্শনের ভিড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে কোরোনা সংক্রমণ ৷ এনিয়ে আশঙ্কায় ছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিকেলের কোভিড ইউনিটে 100 টি অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ ইতিমধ্যে সেখানে 50 টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে ৷ কিন্তু শুধুমাত্র নবমী তিথি ছাড়া মালদার রাস্তাঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় তেমন চোখে পড়েনি ৷ এর প্রভাব পড়েছে কোরোনা সংক্রমণের গতিতেও ৷ পুজোর আগে যেখানে প্রতিদিন এই জেলায় 100 জনের বেশি মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছিল, পুজোর চারদিন সেই সংক্রমণের সংখ্যা বেশ নিম্নমুখী ৷ তবে এখনই এনিয়ে স্বস্তিতে থাকতে রাজি নয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৷ লক্ষ্মীপুজো পেরোলে সংক্রমণের গতি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বিভাগের পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আশঙ্কা কাটিয়ে মালদায় পুজোর চারদিন সংক্রমণ নিম্নমুখী
পুজোয় সংযত মালদাবাসী ৷ কোরোনা গ্রাফ আপাতত নিন্মমুখী ৷ লক্ষ্মীপুজো না পেরোলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রাজি নয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৷
পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই মালদায় দৈনিক কোরোনা সংক্রমণের মাত্রা ছিল 100-এর বেশি ৷ বিশেষত পুজোর বাজারে ভিড়কেই সেই সময় দায়ী করা হয়েছিল ৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং পুজোর সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার আয়োজন করতে জেলায় ছুটে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গের কোরোনা মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায় ৷ তাঁর পরামর্শেই মালদা মেডিকেলের কোভিড ইউনিটে অতিরিক্ত 100 টি বেডের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ ৷ সেখানে আগে থেকেই 150 টি বেড ছিল ৷ পুজোর মধ্যে সেখানে আরও 50 টি বেডের ব্যবস্থা করা হয় ৷ পুজোর ক’দিন মালদায় উপস্থিত থেকে এসবের দেখভাল করেছেন মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ ৷ তিনি জানিয়েছেন, “শুধু আমি নই, মেডিকেলের চিকিৎসকরাও পুজোর সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ৷ সবাই মিলেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলাম ৷ গতকাল আমাদের কোভিড ইউনিটে 35 জন সংক্রমিত ভরতি ছিলেন ৷ তবে আরও কয়েকদিন আমাদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে ৷”
এবার সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী তিথিতে জেলায় নতুন করে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা যথাক্রমে 73, 75, 28 ও 57 ৷ গতকাল পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত হয়েছে 8626 জন ৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানান, “পুজোর 4 দিন জেলায় নতুন করে 233 জন কোরোনা সংক্রমিত হয়েছে৷ পুজোর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাংলো সংলগ্ন বাঁধ রোডে একটি অস্থায়ী লালারস সংগ্রহ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ এর পাশাপাশি মালদা মেডিকেল ও অন্য হাসপাতালগুলিতে লালারসের নমুনা সংগ্রহের কাজ আগের মতোই চলছিল ৷ এবার পুজোর ক’দিন বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ঘরবন্দী রেখেছিলেন ৷ রাস্তায় লোকজন কমই বেরিয়েছিল ৷ তবে এখনই আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি না ৷ সংক্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষ্মীপুজো পেরোলেই আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারব ৷”