পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চারদিন আগেও ফাঁকা মালদার ইদের বাজার, বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা - eid business in malda

জেলার কাপড় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সব ঠিক থাকলে প্রতি বছর মালদায় শুধুমাত্র ইদে 350 থেকে 400 কোটি টাকার জামাকাপড়ের ব্যবসা হয় ৷ গত বছর পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে ইদের বাজারে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল 300 থেকে 350 কোটি টাকা ৷

corona hits eid business in malda
corona hits eid business in malda

By

Published : May 8, 2021, 7:25 PM IST

Updated : May 8, 2021, 7:32 PM IST

মালদা, 8 মে : গত বছর ইদের আগেই হানা দিয়েছিল ঘাতক করোনা ৷ দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছিল পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ৷ ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা জেলার ইদের বাজার ব্যপক মার খেয়েছিল ৷ শুধু জামাকাপড়ের ব্যবসাতেই ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল 350 কোটি টাকা ৷ মহাজনের কাছে বাকিতে মাল নিয়ে বিক্রি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা ৷ মহাজনের টাকা শোধ দিতে অনেককে ঋণ করতে হয় ৷ এবারও অনেক ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক কিংবা খোলা বাজার থেকে ঋণ নিয়ে জামাকাপড়ে দোকান ভরেছেন ৷ কিন্তু এবার আরও ঘাতক হয়ে দেখা দিয়েছে করোনা ৷ মৃত্যুর হারও বেড়ে গিয়েছে ৷ আতঙ্কে অনেকেই ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না ৷ তাই চারদিন আগেও মালদা শহরের ইদের বাজারে ভিড় নেই, বলছেন ব্যবসায়ীরা ৷ এবারও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের ৷

জেলার কাপড় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সব ঠিক থাকলে প্রতি বছর মালদায় শুধুমাত্র ইদে 350 থেকে 400 কোটি টাকার জামাকাপড়ের ব্যবসা হয় ৷ গত বছর পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে ইদের বাজারে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল 300 থেকে 350 কোটি টাকা ৷ এবার পূর্ণাঙ্গ লকডাউন হয়নি বটে, কিন্তু একদিকে করোনার মারণ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে আংশিক লকডাউনে এবারও ক্ষতির পরিমাণ অন্তত 250 কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে ৷ এবারও গ্রাম থেকে মানুষজন খুব একটা কেনাকাটা করতে শহরে আসছেন না ৷ ফলে ব্যবসায়ীদের আবেদন মেনে জেলা প্রশাসন টানা পাঁচ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিলেও কোনও লাভ হচ্ছে না ৷

করোনার প্রভাব মালদার ইদের বাজারে, বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা

মালদা শহরের চিত্তরঞ্জন পৌর বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী অনুপকুমার দত্ত বলছেন, "গতবার ইদের মুখে দিন কয়েক দোকান খুলতে পেরেছিলাম ৷ সেই ক’দিনে ভালোই ব্যবসা করেছিলাম ৷ কিন্তু গতবারের থেকেও এবার খারাপ দশা ৷ দুপুরবেলায় দোকানে একজন ক্রেতাও নেই ৷ এবার 25 শতাংশও ব্যবসা হয়নি ৷ হাতে আর মাত্র চারদিন ৷ মনে হচ্ছে, করোনার মারণ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়াতেই ব্যবসার এই দশা ৷ আর ব্যবসা ওঠার আশা নেই ৷ গ্রামের মানুষ বাজার করতে আসছে না ৷ শুধুই শহরকেন্দ্রিক ব্যবসা হচ্ছে ৷ এভাবে ব্যবসা হয় না ৷"

আরও পড়ুন : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীর

একই বক্তব্য আরও এক ব্যবসায়ী গোবিন্দ মানিরের ৷ তিনি বলেন, "আংশিক লকডাউন হলেও করোনা এখন আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে ৷ চারদিকে শুধুই মৃত্যুর খবর ৷ এই দুইয়ের যোগে আমাদের ইদের ব্যবসা পুরোপুরি তলানিতে ৷ গতবারের মতো এবারও বাজার পাচ্ছি না ৷ গ্রামের মানুষ সেভাবে আসছে না ৷ ইদের বাজার আর উঠবে বলে মনে হচ্ছে না ৷"

করোনার প্রভাব মালদার ইদের বাজারে

মালদা ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন বাড়োরির বক্তব্য, "গতবারের থেকেও এবার খারাপ অবস্থা ৷ গতবার গ্রাম থেকে কিছু মানুষের দেখা মিলেছিল ৷ এবার সেটা আর হচ্ছে না ৷ করোনা এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ৷ আমাদের অবস্থাও খুব করুণ ৷ গতবার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে ৷ এবার অনেকেই ব্যাঙ্ক কিংবা বাজারে 10 থেকে 20 শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ইদের জামাকাপড় তুলেছেন ৷ কিন্তু জামাকাপড় বিক্রি হচ্ছে না ৷ দু’তিন ঘণ্টায় ব্যবসা হয় না ৷ প্রশাসন আমাদের টানা পাঁচ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে ৷ আশা করেছিলাম, এতে ব্যবসা খানিকটা হবে ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷"

Last Updated : May 8, 2021, 7:32 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details