মালদা, 17 জুন : সাপে কেটে মৃত্যু হল বছর তিনেকের শিশুর । নাম ইন্দ্রজিৎ ঘোষ । পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ির সারদা পল্লির ঘটনা । মৃত শিশুর বাবার অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু হয় তার । আজ দুপুরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ।
গোটা রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকের কর্মবিরতির জন্য সপ্তাহের শুরু থেকেই ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা । রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ । ফলে বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্য ডাক্তাররা ।
ইন্দ্রজিতের বাবা শিবু ঘোষ জানিয়েছেন, আজ সকালে বারান্দায় খেলছিল ইন্দ্র । সেখানেই সবার অলক্ষ্যে ইন্দ্রকে ছোবল মারে একটি সাপ । এরপর সে অজ্ঞান হয়ে যায় । মুখ থেকে গ্যাঁজাল বেরোতে শুরু করে । তখনই তারা দেখতে পারে সাপের কামড়ের চিহ্ন । তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় । সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু জরুরি বিভাগে দু'ঘণ্টা ছটফট করে কিন্তু কোনও চিকিৎসক ছিল না । এরপর এক ঘণ্টা পরে শিশুটি মারা যায় । এরপর দুপুর 12 টা নাগাদ চিকিৎসক ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।
মালদার মালঞ্চপল্লির বাসিন্দা কুরবান শেখ বলেন, "সকাল 10 টার সময় বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও চিকিৎসক জরুরি বিভাগে ছিল না ৷ ঘণ্টাখানেক পর শিশুটি মারা যায় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে ৷ জুনিয়রদের উপর দায়িত্ব দিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা চেম্বার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন ৷ চিকিৎসা না পেয়েই শিশুটি মারা গেছে ৷"
ইন্দ্রজিতের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে মালদা মেডিকেল চত্বরে । NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগে যে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে তার মাশুল গুনতে হচ্চে রাজ্যবাসীকে । যে ডাক্তারা রোগীদের কাছে সেভিয়ার বলে পরিচিত তারাই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছেন বলেই মত রোগীর পরিবারের । যদিও এ বিষয়ে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি ।