মালদা, 11 অক্টোবর: জমির দখল নিয়ে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মণপুর এলাকা (Malda Clash)৷ দু’পক্ষের লাঠালাঠিতে আহত হয়েছেন একাধিক পুরুষ ও মহিলা ৷ গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ ঘটনাস্থলে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ তবে গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে (Clash between two groups of TMC)৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বিঘা জমির মালিকানা নিয়ে লক্ষ্মণপুর গ্রামের রাহানুল হক ও শেখ আফতাবউদ্দিনের পরিবারের মধ্যে মাস তিনেক ধরে বিবাদ চলছে ৷ সেই বিবাদ আজ বড়সড় আকার নেয় ৷ আজ সকালে সেই জমিতে বেড়া দিচ্ছিল এক পক্ষ ৷ আরেক পক্ষ তাতে বাধা দেয় ৷ এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায় ৷ খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে নিরস্ত করে ৷ পুলিশ দু’পক্ষকেই জমির নথিপত্র থানায় নিয়ে যেতে বলে ৷ পুলিশ গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হন দু’পক্ষেরই মোট 12 জন ৷ আরও কয়েকজন আহত হলেও তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় ৷ এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাহানুল হক, শেখ উজ্জ্বল, মুফিলুদ্দিন শেখ, শেখ লতিফুর, হাসবি বিবি ও শেখ নইমুদ্দিন ৷ আরেক পক্ষের চিকিৎসাধীনরা হলেন শেখ আফতাবউদ্দিন, শেখ সাহাবুদ্দিন, তারিক আনোয়ার, তাকিম আলি, শেখ করিমুদ্দিন ও এনামুল হক ৷
রাহানুল হকের মেয়ে শিউলি খাতুনের দাবি, “জায়গাটা আমার বাবার ৷ জমির কাগজপত্র আমাদের নামেই রয়েছে ৷ আজ সকালে ওরা ওই জমি বেড়া দিয়ে ঘিরছিল ৷ ওরা জমির কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে ওরা সরে যায় ৷ বেড়াও খুলে নেয় ৷ পুলিশ সেখান থেকে সরতেই ওরা বাবাদের উপর হামলা চালায় ৷ আমাদের 10 জন আহত হয়েছে ৷ একজনকে মালদায় রেফার করে দেওয়া হয়েছে ৷”