চাঁচল (মালদা), 5 মে: চাঁচল এলাকাকে পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভায় উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের ৷ গত শতকের নয়ের দশকে প্রথমবার এই দাবিতে সরব হন মালদা জেলার এই অংশের মানুষ ৷ তার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর ৷ ভোট এলে চাঁচলকে পৌরসভায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় রাজনৈতিক দলগুলির তরফে ৷ কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়িত হয় না ৷ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন যে আপাতত চাঁচলে পৌরসভা তৈরি সম্ভব নয় ৷ আর তার পরই হতাশ চাঁচলের বাসিন্দারা ৷ এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি ৷ তবে তৃণমূলের কেউ এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে মুখ খোলেননি ৷
বৃহস্পতিবার মালদায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাঁচল পৌরসভা গঠনের নিবেদন জানান এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “নাহ ! ওটা এখন হচ্ছে না ৷ যা টাকা আছে, তাতে হচ্ছে না ৷ তোমরা পৌরসভার নিয়ম জানো না ৷ মিউনিসিপ্যালিটির ফান্ড এখন এত বাড়িয়ে দিয়েছে যে এখন যেসব পৌরসভা রয়েছে, তারাই টাকা পাচ্ছে না ৷ আরেকটা কথা জেনে রেখো মিউনিসিপ্যালিটি হলে ট্যাক্স বেড়ে যায় ৷ মানুষের সমস্যা হয় ৷ আর মিউনিসিপ্যালিটি হলে তোমাকে ফায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে সব কিছু মেনটেইন করতে হবে ৷ এলাকার মানুষকে 100 দিনের কাজও দিতে পারবে না ৷ ডোন্ট আরগু ৷ টাকা না পেয়ে শুধু মিউনিসিপ্যালিটি করে কী করবে ? বসো ৷”
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে ৷ চাঁচলের বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম বলেন, “এই ঘটনায় আমরা চাঁচলবাসী হিসাবে আশাহত ৷ গতকাল এলাকার বিধায়কের চাঁচল পৌরসভার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, পৌরসভা না করার পিছনে যে অজুহাত দেখালেন, সেটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷ চাঁচলবাসী হিসাবে আমরা তাঁর যুক্তি প্রত্যাখ্যান করছি ৷ আমাদের দীর্ঘদিনের আশা নিয়ে যেভাবে উনি ছেলেখেলা করলেন, আমরা তা মেনে নিতে পারছি না ৷ এলাকার মানুষ এটা ভালোভাবে নেয়নি ৷’’ এই দাবি পূরণ করতে রাজনীতি ভুলে চাঁচলের সবাইকে মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামা উচিত বলেও তিনি মনে করেন ৷