মালদা, 4 নভেম্বর: দীপাবলির বাকি সপ্তাহখানেক ৷ তার আগে চাহিদা বাড়ছে মোমবাতির । এই মুহূর্তে মালদা শহরের মোমবাতি কারখানাগুলিতে চরম ব্যস্ততা । নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কর্মীরা ৷ শুধুমাত্র এই মাসে প্রায় আড়াইগুণ মোমবাতি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী প্রস্তুতকারকরা । এর ফলে বাড়ছে কর্মসংস্থানও ।
দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব । সেজে উঠবে প্রতিটি বাড়ি ৷ একটা সময় ছিল যখন প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বলত । পরবর্তীতে প্রদীপের সেই জায়গা নেয় মোমবাতি । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতিকে সরিয়ে বাজারের দখল করেছে বৈদ্যুতিক আলো । চিনা লাইট ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে । তবে করোনা আবহে লকডাউনের কারণে চিনা আলো বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে চিনা আলোর প্রতি অনীহা দেখা যায় সাধারণ মানুষের । বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় ভারতীয় টুনি বাল্ব ৷ তা সত্ত্বেও এখনও দিওয়ালিতে বহু মানুষের প্রথম পছন্দ মোমবাতিতেই ।
মালদা শহরের মোমবাতি কারখানার কর্মী ঝরনা চৌধুরী বলেন, "আমি প্রায় 5-6 বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি । আমরা যে পরিমাণে মোমবাতি তৈরি করি সেই অনুযায়ী মজুরি পাই । বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময় মোমবাতির চাহিদা অনেকটা বেশি থাকে । আমরা একসঙ্গে দু-তিনটে মেশিনে কাজ করি । প্রতিটি মেশিন থেকে প্রায় 25 পেটি মোমবাতি প্রতিদিন তৈরি হয় ।"