মালদা, 21 সেপ্টেম্বর:কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী, প্রতিটি সরকারি প্রকল্পেই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল প্রধান শিক্ষকের ৷ অভিযোগ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে দুর্নীতি করা নিয়েও ৷ এই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা শিক্ষা দফতরেও অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ ৷ কিন্তু তাতেও কাজ কিছু হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়ে ৷ তাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলেই জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর ৷
এরপরেই হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্টের এই রায় জেলায় এসে পৌঁছতেই শোরগোল পড়েছে প্রশাসনিক মহলে ৷ আদালতের নির্দেশ দ্রুত পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ৷
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মহম্মদ খাইরুল আলম ৷ তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ৷ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী ও সবুজসাথী প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৷ এই নিয়ে মাদ্রাসায় একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, কাটমানি নিয়ে প্রধান শিক্ষক কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করেন ৷ মাদ্রাসার ছাত্রী না এমন মেয়েদের নামও তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের কন্যাশ্রী তালিকায় নথিভুক্ত করেছেন ৷ এমনকি বিবাহিত মহিলাদেরও তিনি বেআইনিভাবে সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন ৷ তাঁকে টাকা না দিলে কোনও পড়ুয়া সবুজসাথী সাইকেল পাবে না ৷ পাবে না সরকারের দেওয়া ট্যাবও ৷ এছাড়াও মাদ্রাসার ফান্ড থেকে তিনি প্রচুর টাকা বেআইনিভাবে হস্তগত করেছেন ৷