পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ভাগাড় বিক্রি হবে, খদ্দেরের খোঁজে ইংরেজবাজার পৌরসভা - Waste land

শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বেশ কিছুদিন আগে ইংরেজবাজার পৌরসভা একটি স্থায়ী ভাগাড় তৈরির উদ্যোগ নেয় । এক কোটিরও বেশি টাকায় মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসিমারি এলাকায় কেনা হয় প্রায় আট একর জায়গা । প্রাথমিকভাবে দু-এক দিন সেখানে শহরের আবর্জনা ফেলার পরই বাধা আসতে থাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে । এখন ওই জায়গা বিক্রি করতে খদ্দেরের খোঁজ শুরু করেছে ইংরেজবাজার পৌরসভা ।

ইংরেজবাজার পৌরসভা

By

Published : Aug 16, 2019, 11:00 PM IST

Updated : Aug 16, 2019, 11:38 PM IST

মালদা, 16 অগাস্ট : শেষ পর্যন্ত খদ্দেরের খোঁজে ইংরেজবাজার পৌরসভা । শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বেশ কিছুদিন আগে ইংরেজবাজার পৌরসভা একটি স্থায়ী ভাগাড় তৈরির উদ্যোগ নেয় । এক কোটিরও বেশি টাকায় মালদা শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসিমারি এলাকায় কেনা হয় প্রায় আট একর জায়গা । বেশ কয়েক হাজার টাকা খরচ করে সেই জায়গা ঘেরাও হয় । প্রাথমিকভাবে দু-এক দিন সেখানে শহরের আবর্জনা ফেলার পরই বাধা আসতে থাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে । তাদের বাধা কাটাতে একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষ ও BSF প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে জেলা প্রশাসন । কিন্তু সেই বাধা কাটেনি । এখনও পর্যন্ত চালু করা যায়নি ওই ভাগাড় । আশাও ছেড়ে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ । এখন ওই জায়গা বিক্রি করতে খদ্দেরের খোঁজ চলছে ।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, পৌরসভার ওই জায়গা কিনতে এগিয়ে এসেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ । তারা সেই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করতে আগ্রহী । এনিয়ে ইসকনের পক্ষ থেকে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথাবার্তা হয়েছে । তবে তারা জায়গা কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষকে । জানা যাচ্ছে, তাদের আর্জি নিয়ে ভাবছে পৌর কর্তৃপক্ষও । কিন্তু যে জায়গা শহরবাসীর করের টাকায় কেনা হয়েছিল, সেই জায়গা পৌর কর্তৃপক্ষ কিভাবে কম দামে বিক্রি করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পৌরসভার অন্দরেই ।

এবিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "পুরোনো ওই জায়গায় BSF-এর বাধায় ভাগাড় তৈরি না করতে পেরে আমরা দ্বিতীয় একটি জায়গা কিনেছি । 10 বিঘা সেই জায়গায় গত শুক্রবার রেজিস্ট্রিও করা হয়েছে । জেলাশাসকের সহায়তায় ওই জায়গার সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য টেন্ডারও হয়ে গেছে । খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজ শুরু করা হচ্ছে । পুরোনো জায়গাটি কিনতে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে । যেহেতু পুরোনো জায়গাটি পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে কেনা হয়েছিল, তাই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি যদি সেই জায়গা কিনতে ইচ্ছুক থাকে তবে আমরা তাদের ওই জায়গা বিক্রি করতে পারি । আরও কিছু মানুষ সেই জায়গা কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে । ওই জায়গা বিক্রি করে শহরের আবর্জনা সাফাই করার জন্য আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে । তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা জমি দান করতে পারব না ‌। আমরা যে দামে জমিটি কিনেছিলাম সেই টাকা দিয়েই তাদের ওই জায়গা কিনতে হবে ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Last Updated : Aug 16, 2019, 11:38 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

Waste land

ABOUT THE AUTHOR

...view details