মালদা, 23 মে: ভ্যান টেনে, দিনমজুরের কাজ করে কিছু আর্থিক উপার্জনের আশায় সাত সকালে ঘর থেকে বেড়িয়েছিলেন 45 বছরের রাজু ঋষি ওরফে মংলু । দিনের শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর । বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়ি ফিরল প্লাস্টিকে মোড়া তাঁর নিথর দেহ। দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল শেষবারের মতোও রাজুকে দেখতে পেলেন না পরিবারের লোকজন । অবিলম্বে ওই পরিবারকে সরকারি সাহায্যের দাবি তুলেছেন স্থানীয় লোকজন । ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ পাড়া এলাকায় এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
টিভির পর্দায় রাজুর দেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার খবর দেখেছেন এলাকার লোকজন । দুপুর থেকে এলাকার লোকজনের চোখ শুধু রাস্তার দিকে । পাড়ার মহিলারা ছুটে গিয়েছেন রাজুর স্ত্রী অরুণাকে সামলাতে । অবশেষে বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ এলাকায় পৌঁছয় প্লাস্টিকে মোড়া রাজুর দেহ । সঙ্গী ইংরেজবাজার থানার পুলিশ । রীতি মানার জন্য দেহ বাড়ির উঠোনে নিয়ে যাওয়া হলেও পরিবারের কাউকে তা দেখতে দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা ।
স্থানীয় বাসিন্দা টুম্পা ডোম জানান, রাজু ভ্যান চালানোর পাশাপাশি মাল তোলার কাজ করতেন । আজ সকালেও তিনি কাজ করতে যান । সেখানে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় তাঁর । মৃত রাজুর তিন ছেলে এক মেয়ে রয়েছে । তার মধ্যে বড় ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম । মেয়ের বিয়ে হলেও বর্তমানে তিনি তাঁদের সঙ্গেই থাকেন । পুরো সংসারের দায়িত্ব ছিল রাজুর ওপর । পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি । টুম্পা বলেন, "দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার । এখন কীভাবে এই সংসার চলবে তা জানা নেই । আমরা এই পরিবারের জন্য সরকারি সাহায্যের দাবি জানাচ্ছি ।"