মালদা, 16 অক্টোবর: পেরিয়ে গিয়েছে 24 ঘণ্টারও বেশি সময় ৷ এখনও হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদায় নিহত মহিলার পরিচয় জানা যায়নি ৷ সোমবার চাঁচলের একটি গ্রামের এক নিখোঁজ বধূর পরিবারের লোকজন দেহটি শনাক্ত করতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে আসেন ৷ কিন্তু সেটি তাঁদের পরিবারের নিখোঁজ সদস্যের দেহ নয় বলে জানিয়ে দেন তাঁরা ৷ এই মুহূর্তে আগে নিহত মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ পুলিশের অনুমান, ওই মহিলার পরিচয় জানা গেলেই গোটা ঘটনা সামনে বেরিয়ে আসবে ৷
রবিবার সকালে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের চোচপাড়া বাঁধবান এলাকায় ধানের জমির পাশ থেকে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরির কোপ ছিল ৷ মুখ অ্যাসিড বা অন্য কিছু দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছুরি, কনডোম, অ্যাসিডের বোতল, লঙ্কার গুঁড়ো, গ্লাভস, মশা তাড়ানোর ধূপকাঠি প্রভৃতি ৷ তদন্তের স্বার্থে সেসব বাজেয়াপ্ত করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷
বিহারগামী রাস্তার ধার থেকে দেহটি উদ্ধার হওয়ায় এলাকার মানুষ অনুমান করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকতে পারে ৷ কারণ, ওই রাজ্যের দুষ্কৃতীরা প্রায়শই মদ কিনতে এলাকায় আসে ৷ এলাকায় একাধিক সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্মের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশও ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় মহিলার পরিচয় ৷ স্থানীয়রা জানিয়ে দেন, নিহত মহিলা এলাকার নয় ৷ এরপরেই মৃতার পরিচয় জানতে জেলার প্রতিটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ যোগাযোগ করা হয় এলাকা সংলগ্ন বিহারের থানাগুলির সঙ্গেও ৷