মালদা, 20 জুলাই: ভোটের ফল প্রকাশের একদিন পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এক কংগ্রেস প্রার্থীর ভাইপো ৷ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার রেল লাইনের ধার থেকে নিখোঁজ ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে আটক করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত ৷ তবে পরিবারের অভিযোগ জ্যেঠু ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান ৷ তাই ভাইপো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে ৷ জ্যেঠু মাহাতাব খান বলেন, "আমার ধারণা, আমার সঙ্গে কেউ এভাবে রাজনৈতিক শত্রুতা মেটাল ৷ কারণ, ভাইপো খুব সাধাসিধে ছেলে ছিল ৷ কোনও ঝামেলায় থাকত না ৷"
মৃত যুবকের নাম মহম্মদ ইসকা হাবিব খান ৷ বয়স 23 বছর ৷ বাড়ি কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর গ্রামের খানপাড়ায় ৷ তাঁর জ্যেঠু মাহাতাব খান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ৷ এবারও কংগ্রেসের টিকিটে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৷ তবে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন ৷ হাবিব পেশায় ছিলেন ট্র্যাক্টর চালক ৷ এলাকায় নির্বিরোধী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি ৷ কারও সঙ্গে কোনওদিন তাঁকে কেউ ঝামেলা করতে দেখেনি ৷ সক্রিয় রাজনীতি থেকেও তিনি দূরেই থাকতেন ৷ তবে এবার জ্যেঠু পঞ্চায়েতের প্রার্থী হওয়ায় তিনি ভোটের আগে কিছুদিন কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের কাজ করেছেন ৷ 13 জুলাই চায়ের দোকানে যাওয়ার নাম করে তিনি বাড়ি থেকে বেরোন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর কোনও সন্ধান মিলছিল না ৷ অবশেষে আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷
মাহাতাব খান বলেন, "ফল প্রকাশের একদিন পর থেকে ভাইপো নিখোঁজ ছিল ৷ চা খেতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ৷ দু'দিন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করার পর আমরা 15 জুলাই মোথাবাড়ি থানায় ওঁর নামে মিসিং ডায়ারি করি ৷ 17 তারিখ সন্ধে 6টা 19 মিনিটে বাড়ির নম্বরে একটি ফোন আসে ৷ ফোনে জানানো হয়, হাবিবকে ধুলিয়ানে ফেলে রাখা আছে ৷ 30 হাজার টাকা দিলে ওঁকে কালিয়াচকে ছেড়ে আসা হবে ৷ আমরা টাকা দিতে রাজি হয়ে যাই ৷ ওর সঙ্গে একবার কথা বলানোর অনুরোধ করি ৷ কিন্তু ওর সঙ্গে আমাদের কথা বলানো হয়নি ৷ ওই ফোনের যাবতীয় তথ্য আমরা মোথাবাড়ি থানায় জমা দিই ৷"
আরও পড়ুন:ভোটপরবর্তী হিংসায় কর্মীরা আক্রান্ত, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কংগ্রেস