পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদায় দলের ভিত শক্ত করতে ময়দানে তৃণমূল - Bjp mp khagen murmu

কোরোনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যে রাজনৈতিক জমি শক্ত করছে BJP ৷ তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান জানালেন মালদার তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ৷

বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ
সাংবাদিক বৈঠকে মৌসুম নুর

By

Published : Jun 4, 2020, 1:10 PM IST

মালদা, 4 জুন : কোরোনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যে রাজনৈতিক জমি শক্ত করছে প্রধান বিরোধী দল BJP৷ প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে BJP নেতৃত্ব ৷ এতে যেন খেই হারিয়ে ফেলছে শাসক শিবির৷ শুধু মালদা নয়, বিরোধীদের অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া শাসক শিবির থেকে এখনও পাওয়া যায়নি৷ খোদ তৃণমূলনেত্রীও যেন বিরোধীদের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় খানিকটা নিস্প্রভ৷ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এভাবে থমকে যাওয়া, সমস্যার কারণ হতে পারে৷ সম্ভবত সেকথা চিন্তা করেই আসরে নেমেছেন শাসকদলের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর।

আজ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলীয় নির্দেশে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে৷ বাদ ছিল না মালদা জেলাও৷ আজ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর এবং জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি মালদা শহরের নুর ম্যানসনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ বৈঠকে হাজির ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে৷ সেখানেই জানা যায়, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশের কথা বলা হলেও এ আসলে PK-র ফর্মুলা৷

মৌসম বলেন, “রাজ্যের নির্দেশে আমরা এই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি। কোরোনার পাশাপাশি আমফানে জেলার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কীভাবে মানুষের সাহায্য করছে, কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা জানানোর জন্যই এই সাংবাদিক বৈঠক। এই পরিস্থিতিতেও BJP নোংরা রাজনীতি করছে। মানুষের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরছে BJP। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। বাংলার আসল তথ্য কী? বাংলা এই মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের জেলায় এখনও পর্যন্ত 147 কোরোনা পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে। 14,204 জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রায় 26 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনের মাধ্যমে ফিরে এসেছেন। রাজ্যে 89 হাজার শ্রমিককে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। জেলায় 560টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। 10,500 শ্রমিক এখন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে আছেন। প্রায় 3 হাজার শ্রমিক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, কেউ অনাহারে মারা যাবেন না। সেই অনুযায়ী আমরা শ্রমিকদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। যেখানে যেখানে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে আমরা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি।”

এদিকে BJP সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তৃণমূল কখনও মিথ্যে ছাড়া সত্য বলে না। মিথ্যে বলে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। 10 বছর ধরে রাজ্য শাসন করছে। বর্তমানে কোরোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সবাই একসঙ্গে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলের কর্মীরা মিথ্যে বলছেন, যে বিজেপি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। কোথাও জল নেই, কোথাও আলো নেই, লালারসের পরীক্ষা হচ্ছে না। যতটুকু পরীক্ষা হচ্ছে তার ফলাফলও লুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ যে কোনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে দেখুন, সেখানে পরিযায়ীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই তৃণমূল মিথ্যে বলছে। অথচ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য গ্রাম থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত BJP-র সব কর্মী ময়দানে নেমে পড়েছেন।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details