ইংরেজবাজার, 19 নভেম্বর : পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দু'জনেই ৷ তাঁরা পালটা ওই পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ৷ দু'পক্ষই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । ঘটনা কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৷
ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে 22টি আসনের মধ্যে তৃণমূল 8টি, BJP 7টি, কংগ্রেস 1টি ও নির্দল 6টি আসনে জয়লাভ করে । নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে । গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন সত্যজিৎ চৌধুরি, উপপ্রধানের দায়িত্ব পান মন্টু হালদার । গতকাল দুপুরে কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে তৃণমূল ও BJP-র সদস্যদের মধ্যে বচসা হয় । ঘটনাস্থান থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার হয় ।
BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যা নমিতা মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড তাঁকে কাজের টাকা দিচ্ছে না ৷ বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি ৷ এনিয়ে তাঁরা BDO-কে সব জানান ৷ BDO তাঁদের পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন ৷ BDO-র কথামতো তাঁরা সাড়ে তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যান ৷ সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করেন ৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্বামী প্রদীপ মণ্ডল ও অন্য BJP সমর্থকরা । স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে কার্যালয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন । তাঁর স্বামী বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
BJP ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে...ভিডিয়োয় বক্তব্য যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে,পঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরি পালটা অভিযোগ করেন, দুপুরে হঠাৎ ওই BJP সদস্য ও তাঁর স্বামী দলবল নিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে হাজির হন । তাঁরা পঞ্চায়েতের প্রতিটি কাজের জন্য কাটমানি দাবি করেন । কাটিমানি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ও উপপ্রধানকে মারধর করেন ৷ স্থানীয় লোকজন কার্যালয়ে এলে BJP-র লোকজন পালিয়ে যায় । হুড়োহুড়িতে তাঁদের কাছে থাকা একটি পিস্তল কার্যালয়ে পড়ে যায় ।
গতকাল সন্ধেবেলা দু'পক্ষই ইংরেজবাজার থানায় যায় । অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূল ও BJP আলাদা আলাদাভাবে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ পরে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ।