পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ক্লাবে BJP সদস্য, তাই কি সরকারি অনুদান অমিল ? - আশ্বাস দিয়েছে মালদা থানার পুলিশ

মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুরে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারেই রয়েছে যুবক সংঘ । এবার এই ক্লাবের পুজো 48 বছরে পা দিচ্ছে । কিন্তু, ক্লাব কমিটিতে রয়েছেন স্থানীয় BJP পঞ্চায়েত সদস্য । অভিযোগ, এর জেরেই পুজোয় সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্লাবটি ।

ছবি

By

Published : Sep 23, 2019, 6:32 PM IST

Updated : Sep 23, 2019, 6:54 PM IST

মালদা, 23 সেপ্টেম্বর : ক্লাব কমিটিতে রয়েছেন BJP-র পঞ্চায়েত সদস্য । তাই সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাঁদের পুজো ৷ এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুর যুবক সংঘের সদস্যরা । পুজো কমিটির সদস্যরা বলেন, "গত বছর সরকারি অনুদান অনুমোদন মিলেছিল । কিন্তু মালদা থানার তৎকালীন IC জোর করে ক্লাব সম্পাদককে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে সেই অনুমোদন বাতিল করে দেন । সেই অনুদান পরে দেওয়া হয় শাসকদল পরিচালিত একটি ক্লাবকে । এবারও সেই ধারা বজায় রয়েছে । অথচ পুজোর অনুদান পেতে আমরা সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে চলি । রাজনৈতিক রং না দেখে আমাদের ক্লাবকে পুজোর অনুদান দেওয়া উচিত ।"

মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুরে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে যুবক সংঘ । এবার এই ক্লাবের পুজো 48 বছরে পা দিচ্ছে । পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, "গতবছর মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে রেজিস্টার্ড ক্লাবগুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন । সেই ঘোষণা অনুযায়ী গতবছর প্রতিটি ক্লাবকে পুজোর জন্য 10 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয় । এবার সেই অনুদান বেড়ে 25 হাজার টাকা হয়েছে । গতবছর আমাদের ক্লাবের নাম সরকারি অনুদান পাওয়ার তালিকায় ছিল । কিন্তু পরে সেই নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয় । এবারও একই অবস্থা । প্রথমে আমরা শুনেছিলাম, আমাদের ক্লাবের নাম তালিকায় রয়েছে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালদা থানার পুলিশ সেই ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি । অথচ আমাদের রেজিস্টার্ড ক্লাব । ক্লাবের নিজস্ব ভবন রয়েছে । দুর্গামন্দিরও রয়েছে । তা সত্ত্বেও আমরা গতবছর টাকা পাইনি ।"

চলছে পুজোর প্রস্তুতি

রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, "এবার মালদা থানায় একটি রক্তদান শিবির হয় । থানা থেকে সেই শিবিরে আমাদের ডাকা হয়েছিল । আমাদের পাঁচ জন সদস্য সেই শিবিরে রক্তদান করেন । প্রথমে থানা থেকে বলা হয়েছিল, এবার আমরা সরকারি অনুদান পাব । কিন্তু তারপর পুলিশ আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি । ক্লাবে বা সংগঠনে বিভিন্ন জাতি কিংবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা থাকতে পারেন । কিন্তু তার জন্য কি সেই ক্লাবকে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করা হবে? এটা বোধহয় ঠিক নয় । প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, তারা আমাদের ক্লাবের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখুক । তারপর যদি আমরা সরকারি অনুদান পাওয়ার যোগ্য হই তবে তা আমাদের দেওয়া হোক । এটা ঠিক, আমাদের ক্লাবের এক সদস্য বরুণ দাস পঞ্চায়েতের BJP সদস্য। কিন্তু ক্লাবে তো সব রাজনৈতিক দলের লোকজনই থাকতে পারে ।"

বরুণ দাস বলেন, "আমাদের ক্লাব রেজিস্টার্ড । গত 48 বছর ধরে এখানে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে । মুখ্যমন্ত্রী গতবার থেকে রেজিস্টার্ড ক্লাবগুলোকে দুর্গাপুজো করার জন্য সরকারি অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন । সেই তালিকায় আমাদের ক্লাবের নামও ছিল । কিন্তু গত বছর ক্লাব সম্পাদককে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাঁকে স্বাক্ষর করিয়ে ক্লাবের অনুমোদন বাতিল করা হয় । সেই টাকা নতুন একটি ক্লাবকে দেওয়া হয় । একটি ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন থাকতেই পারে । কিন্তু পুজোর অনুদান নিয়ে রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় । আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, এক্ষেত্রে যেন রাজনীতির রং না দেখা হয় । পুজোর যাবতীয় নথিপত্র আমাদের তৈরি রয়েছে । তবে আমার জন্যই ক্লাব সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কি না তা আমার জানা নেই ।"

দেখুন ভিডিয়ো

এনিয়ে আজ মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় । কিন্তু তিনি দপ্তরে আসেননি । ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি । তবে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর কী হয়েছে তা জানা নেই । এবার যাতে কোনও যোগ্য ক্লাব সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত না হয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

Last Updated : Sep 23, 2019, 6:54 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details