মালদা, 16 নভেম্বর : সকাল সকালই তৈরি হয়ে গিয়েছিল মামণি, লাবণী, স্নেহা, রাধিকা, মন্দিরারা ৷ ভাইফোঁটা যে । তবু তৈরি হতে একটু বেলাই হয়ে যায় ওদের ৷ এদিকে সকাল থেকে না খেয়েই ছিল ভাই-দাদারা ৷ বোনদের হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে যে যার জায়গায় কাজে চলে যাবে ৷ কারণ তাঁদের ছুটি নেই ৷ তাঁদের উপরেই নির্ভর করছে 130 কোটি দেশবাসীর নিশ্চিন্তির ঘুম ৷ তাঁরাই যে দেশের ফার্স্ট ম্যান ইন ডিফেন্স ।
BSF জওয়ানদের ফোঁটা দিলেন গ্রামের বোনেরা - Malda BSF
হবিবপুরের শিরশি কলাইবাড়ি গ্রামে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে নিয়োজিত 44 নম্বর ব্যাটেলিয়নের BSF জওয়ানদের ফোঁটা দিয়েছে ওই গ্রামের মেয়েরা ৷ দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা জওয়ানরা আজ দুপুরে গ্রামের কিশোরী ও যুবতীদের হাতে ফোঁটা নেন ৷
হবিবপুরের শিরশি কলাইবাড়ি গ্রামে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে নিয়োজিত 44 নম্বর ব্যাটেলিয়নের BSF জওয়ানদের ফোঁটা দিয়েছে ওই গ্রামের মেয়েরা ৷ দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা জওয়ানরা আজ দুপুরে গ্রামের কিশোরী ও যুবতিদের হাতে ফোঁটা নেন ৷ হয়তো তাঁদের অনেকেরই বাংলার এই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় নেই ৷ তবে, বোনদের ক্ষেত্রে ভাষা কিংবা প্রাদেশিকতার কোনও জায়গা নেই ৷ আজ তারই প্রমাণ মিলেছে ৷
গুরমিত সিং, সুশীল যাদবদের সঙ্গে বোনদের হাতে ফোঁটা নিতে চলে আসেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া হবিবপুরের BDO, IAS পি প্রমোথ ৷ তিনিও জওয়ানদের সঙ্গে মাটিতে বসে মামণি মণ্ডল, লাবণী সর্দার, স্নেহা মণ্ডল, রাধিকা সাহা, মন্দিরা মণ্ডলদের হাত থেকে ফোঁটা নেন ৷ বোনরা সবাই এই ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ৷ ভাইদের মিষ্টিমুখ করায় ৷ ভাইরাও সবাই যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে বোনদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ নিজেদের সাধ্যমতো বোনদের উপহারও দেয় তাঁরা ৷ এভাবে ভাইফোঁটা উদযাপন করে আপ্লুত স্নেহা ৷ বলেন, “এলাকার বাসিন্দা তারাশংকর রায়ের চেষ্টাতেই আজ আমরা BSF জওয়ানদের ভাইফোঁটা দিয়েছি ৷ ফোঁটা নিতে চলে এসেছিলেন হবিবপুরের BDO ৷ এই ভাইরা নিজেদের ঘর ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে আমাদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় ব্যস্ত থাকেন ৷ তাই আজ আমরাও বাঙালি প্রথায় তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করেছি ৷”